মহার্ঘভাতা (ডিএ) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তার পর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল কিস্তিতে দিতে পারে রাজ্য সরকার। এবার আজ, শুক্রবার আগের দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই দু’মাস অতিক্রান্ত। তার পর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে।
ঠিক কী বলা হয়েছে? এদিন আগের রায়কে পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সময়সীমা বৃদ্ধির আর্জি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুতরাং দুর্গাপুজোর আগে অনেকে ভেবেছিলেন মহার্ঘভাতা পাবেন সেটা যে হচ্ছে না এই পদক্ষেপে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার আজ আদালতে আর্জি জানিয়েছে, আদালত যেন ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করে দেখে এবং নতুন করে রায় দেয়।
ঠিক কী দাবি ছিল? কেন্দ্রীয় সরকার যে হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেয়, সেই হারে রাজ্য সরকারকেও মহার্ঘভাতা দিতে হবে। এই দাবিতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সেই মামলায় গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। আজ, শুক্রবার হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়িয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম মহার্ঘভাতা পান। আর তা নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন।