এবার রাজ্য বাজেটে পড়ুয়াদের ট্যাব নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের জন্য ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার জন্য পান। এবার একাদশ শ্রেণি থেকেই সেই টাকা দেওয়া হবে। সেজন্য অতিরিক্ত ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ক্লাস ১১ থেকেই উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা শুরু হয়ে যায়। সেকারণে ক্লাস ১১ থেকে স্মার্ট ফোন দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের সুবিধা হবে। আগে দ্বাদশ শ্রেণিতে দেওয়া হত।
অর্থাৎ এবার আর সরকারি ট্যাব পাওয়ার জন্য দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। দশম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরেই কোনও পড়ুয়ার হাতে চলে যাবে সরকারি ট্যাব। নিঃসন্দেহে বাংলার লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার মুখে হাসি ফোটাল রাজ্য বাজেটের এই ঘোষণা। এককথায় বিরাট ঘোষণা।
এদিকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেকেই এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। অতিমারিতে যখন অনলাইনে ক্লাস চলছিল তখন ট্যাবের প্রয়োজনীতা ছিল প্রশ্নাতীত। কিন্তু তারপরেও প্রকল্পটিকে বজায় রেখেছে রাজ্য সরকার। এবার দেখা যাচ্ছে রাজ্যে বাজেটে এই ট্যাব দেওয়ার জন্য বিশেষ ঘোষণা করা হল। অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের জন্য ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার জন্য পান। এবার একাদশ শ্রেণি থেকেই সেই টাকা দেওয়া হবে। সেজন্য অতিরিক্ত ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন সময় দাবি করা হয় রাজ্যের কোষাগারে বিপুল টানাটানি। তবে সেই টানাটানির সংসারেও এবার ট্য়াব কেনার জন্য খরচ করা হবে ৯০০ কোটি টাকা।
এদিকে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বাজেটের একাধিক ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই বাজেটকে চমকের বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে একাদশ শ্রেণি থেকে ট্যাব দেওয়ার ব্যাপারে আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে ওই টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়। তখন অনলাইন ক্লাস হতো। এই ট্যাব বা স্মার্ট ফোন ভরসা ছিল পড়ুয়াদের কাছে। এখন সব ক্লাস অফলাইনে হয়। তারপরও এখন ট্যাবের জন্য টাকা দেওয়া হবে।
এদিকে আগেই শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য দ্রুত জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) মাধ্যমে পাঠাতে হবে। তবে এবার রাজ্য বাজেটে সেই ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিল।