দিনে ২০,০০০ করোনা টিকার ডোজের ঘাটতি, তৃতীয় ঢেউ আটকানো নিয়ে চিন্তায় কলকাতায়
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Jul 2021, 09:24 PM ISTকলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরনিগমের প্রতিদিন ৫০ হাজার লোককে টিকা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরনিগমের প্রতিদিন ৫০ হাজার লোককে টিকা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
কলকাতায় এখনও করোনার টিকা জোগানে ঘাটতি অব্যাহত। কলকাতা পুরনিগমের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতায় দিনে ২০ হাজার করোনা টিকার ঘাটতি রয়েছে। পুর আধিকারিকদের আশঙ্কা, এভাবে যদি টিকার ঘাটতি চলতে থাকে, তাহলে রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকানো যাবে না। সেই কারণে ফের যাতে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে না যায়, তার জন্য যাবতীয় প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগম।
পুর নিগমের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ৫০ হাজার লোককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু এখন দিনে ৩০ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু কেন এই ঘাটতি? পুরনিগমের মতে, কেন্দ্রের তরফে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা ছিল, সেই পরিমাণে ভ্যাকসিন আসছে না। ফলে পরিকাঠামো থাকলেও ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। কলকাতায় ভ্যাকসিনের সংকট এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে পুরসভার এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৪৫ বছরের বেশি বয়সিরা করোনার দ্বিতীয় ডোজ সোমবার পর্যন্ত পেলেও মঙ্গলবার কি হবে, তা বলা যাচ্ছে না। কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, 'পুরনিগমের প্রতিদিন ৫০ হাজার লোককে টিকা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের কাছে সব পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে টিকা পর্যাপ্ত না আসায় খুব সমস্যা হচ্ছে।'
কলকাতা সহ সারা রাজ্যে এমন অনেক পরিবার আছে, যেখানে বয়স্করা করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেলেও বাড়িতে বয়সে ছোটোরা টিকা পাননি। অর্থাৎ পরিবারের সব সদস্যের টিকাকরণ হয়নি। রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ এলে সেই সব পরিবারের সদস্যরা কতটা সুরক্ষিত থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার এক চিকিৎসক জানান, ‘আমি নিজে ভ্যাকসিন পেয়েছি। কিন্তু আমার সন্তানরা এখনও টিকা পাননি। বাইরে থেকে যখন আমি ঘরে ঢুকি, তখন আমার মাধ্যমে আমার সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। ফলে পরিবারের সবাই টিকা না পেলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসলে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে, সেকথা কথা আশঙ্কা করেই সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শিশুদের মায়েদের দ্রুত করোনার টিকা দিতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মায়েদের বেশিরভাগের বছরসীমাই ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এই বয়সসীমার মধ্যে যারা রয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই এখনও করোনার ভ্যাকসিন পাননি। ফলে তৃতীয় ঢেউ আসলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। ২১ জুনের পর থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সি অনেকেই করোনার টিকা নিতে ভিড় করছেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় জোগান কম থাকায় করোনার টিকা নিতে পারছেন না।