শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডির জেরার মুখে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। বুধবার তাঁকে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি। মানিকের দুর্নীতির জাল কী ভাবে ছড়ানো তা তাপসকে জেরা করে জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে তাপস মণ্ডলকে তিন বার জেরা করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। শেষ শনিবার তিনি ইডির মুখোমুখি হন। প্রায় ৪ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফের তাঁকে বুধবার ডেকে পাঠায় ইডি। এদিন তাঁকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়। সেই মতো এদিন সকালে ইডি দফতরে পৌঁছে যান তাপসবাবু।
ইডি সূত্রের খবর, ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছিলেন তার হিসাব পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির নামে ৫,০০০ টাকা করে আদায় করেন মানিক। রাজ্যের ৬০০ ডিএলএড প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাপস মণ্ডলের। কতজন ছাত্রের কাছ থেকে তিনি টাকা আদায় করেছিলেন তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
‘চাকরি দিতে পারেন কেবল মা জগদ্ধাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, মন্তব্য মিত্র মদনের
এছাড়া করোনাকালে অনলাইন ক্লাসের নামে প্রতিটি ডিএলএড পড়ুয়ার কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করেছিলেন মানিক। সেই টাকা জমা পড়েছিল মানিকের ছেলে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে। সেই টাকার পরিমাণ জানতেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। অনলাইন ক্লাসের জন্য তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে একটি স্টুডিয়ো তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়া তাপস মণ্ডলের আয়কর নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এবার দেখার এদিনও জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন কি না তাপসবাবু।