বাংলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত দুজনকে। বাংলাতে তারা যে ডেরা নিয়েছিল এটা মোটামুটি বোঝা গিয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, শুধু কলকাতা বা দিঘাতেই নয়, কলকাতা থেরে বেরিয়ে যাওয়ার পরে তারা রাঁচিতে গিয়েছিল। সেখানে দিন সাতেক তারা ডেরা নিয়েছিল। কিন্তু এবার প্রশ্ন তারা কাদের কাছে ছিল?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রাঁচিতে আইএসের কোনও স্লিপার সেল কাজ করতে পারে। তারাই ওই আইএস জঙ্গিকে সহায়তা করছিল। মনে করা হচ্ছ আইএসেj কোনও চক্রী সম্ভবত রাঁচিতে কোনও মডিউল তৈরি করেছে। সেখানেই সহায়তা পাচ্ছিল ওই জঙ্গিরা।
গত ১৪ মার্চ তারা ধর্মতলার লেনিন সরণির একটি হোটেল থেকে চেন্নাই যাওয়ার নাম করে বের হয়। কিন্তু তারা বাসে করে রাঁচিতে চলে যায়। কিন্তু কে আশ্রয় দিল তাদের? এটাও দেখছেন গোয়েন্দারা। তবে তাদের গতিবিধির সন্ধান যাতে গোয়েন্দারা না পান সেকারণে তারা ফোনের সফটওয়ার বদলানোরও চেষ্টা করেছিল। এর ফলে তাদের ফোনের আইএমইআই নম্বরও বদলে যেত। সেকারণে তারা কলকাতায় থাকার সময় চাঁদনি চকের ওই ফোনের দোকানেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফটওয়ার বদলাতে পারেনি।
একদিন দুদিন নয়, একেবারে সাতদিন রাঁচিতে ছিল ওই দুই সন্দেহভাজন। তারা রীতিমতো সেখানে জমিয়ে থাকছিল। পরে আবার ২১শে মার্চ কলকাতায় ফিরে আসে তারা। সেদিনই বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় এসেছিল অপর জঙ্গি মোজাম্মেল শেরিফ। সে এক লাখ টাকা তাদের দিয়ে যায়। হোটেল ভাড়া, যাতায়াত, খাওয়া দাওয়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মোটা টাকা খরচ হচ্ছিল। সেকারণে এই টাকা তাদের দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তারা কম দামি হোটেলেই থাকছিল।
গত ২৭ মার্চ শেরিফকে ধরে ফেলে NIA। এরপরই কলকাতায় অপর দুই জঙ্গির থাকার কথা জানতে পারে এনআইএ। সেই মতো গোয়েন্দারা এই মাসের প্রথম দিকে চলে আসে। এরপরই তারা নজরদারি বৃদ্ধি করতে থাকে। পুলিশের সহযোগিতাও তারা নিয়েছিল। অত্যন্ত গোপনে তারা তদন্ত চালাচ্ছিল। কারণ জানাজানি হলেই পাখি উড়ে যেতে পারে। এরপর একাধিক হোটেলে তারা গিয়েছিল বলে জানতে পারে। সেই মতো রেজিস্টারও দেখে আসে পুলিশ। তারপর ধীরে ধীরে জাল গোটাচ্ছিল এনআইএ। শেষ পর্যন্ত দিঘা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদেরষ।