ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে বিপত্তি। এক প্রৌঢ়ার শরীরে ঢুকে গিয়েছিল প্রায় দেড় ফুটের মতো রড। কিন্তু সেই সাফল্যের সঙ্গে বার করে আনলেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।
বুধবার বিকালে ছাদে কাপড় মেলছিলেন হুগলির হরিপালের বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সি মালা খাঁড়া। বিমের ভিতর থেকে বেরিয়ে থাকা লোহার রড় তাঁর ডান হাতের নীচ দিয়ে ঢুকে কাঁধ ফুড়ে বেরিয়ে যায়। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার রড় শরীরে গাঁথা অবস্থাতেই মেডিক্যাল কলেজে আনা মালা খাঁড়াকে। তাঁকে জরুবি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কার্যত নেতিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই অবস্থাতেই চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ তাঁর অস্ত্রোপচারের সিন্ধান্ত নেন। মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শিবজ্যোতি ঘোষের নেতৃত্বে শল্যচিকিৎসকদের তিন সদস্যের একটি টিম তৈরি করা হয়। এই টিমে ছিলেন সার্জন অর্ণব দাস, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য এবং প্রচেতা কুমার। তাঁরা সফল ভাবে অস্ত্রোপচার করে বের করে আনেন রডটি।
(পড়ুন। সিসি দেওয়ার সময় সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন, ক্রেতার হায়রানি কমাতে বড় সিদ্ধান্ত KMC-র)
কী ভাবে এল সাফল্য?
প্রফেসর শিবজ্যোতি ঘোষ জানান, লোহার রডটি অ্যাক্সিল্যারি আর্টারি ও ভেইনের একদম পাশেই গা ঘেঁষেই ঢুকে ছিল। ফলে খুব সাবধানে করতে হয়েছে। কারণ গুরুত্বপূর্ণ রক্তবাহগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, রোগীর হাত কেটে বাদ দিতে হতো। এ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না।
কেমন আছেন রোগী
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশনের পর রোগী এখন সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত। এর মধ্যই কাজ করতে শুরু করেছে মালা খাঁড়ার হাত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দু-একদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণের রেখে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে।
তবে এই প্রথম নয়, কলকাতার হাসপাতালে এর আগেও এই ধরনের রড ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় সাফল্যের সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে রড বার করা হয়েছে।