আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় অপদার্থতার পর এবার গ্রাহকদের বাড়িতে মর্জিমতো বিদ্যুতের বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠল CESC-র বিরুদ্ধে। কলকাতা শহর ও শহরতলির বহু মানুষের অভিযোগ, অস্বাভাবিক বিল পাঠিয়েছে CESC. এমনকী রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরাও পার পাননি। CESC-র বিদ্যুতের বিলের কোপে পড়েছেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী নিজে। সঙ্গে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসার অভিযোগ করছেন CESC-র গ্রাহকরা। তাঁদের দাবি, জীবদ্দশায় এমন বিল আসেনি কোনওদিন। একে লকডাউনে নেই কাজ, তার ওপর হাজার হাজার টাকা বিল চোকাব কোথা থেকে? বৃহস্পতিবার এই নিয়ে মুখ খোলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘দিনকয়েক ধরেই বিদ্যুতের বিল নিয়ে নালিশ জানাতে সকাল থেকে মানুষ আমার বাড়ির সামনে লাইন দিচ্ছেন। প্রচুর ইমেইলও পাচ্ছি। এর পর আমি CESC-র সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে তাদের তরফে এখনো কোনও ব্যাখ্যা পাইনি। আমি সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে এই মোটা বিলের কারণ খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে বলেছি।’
CESC-র তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের জেরে মার্চ থেকে বিদ্যুতের মিটার রিডিং নেওয়া বন্ধ ছিল। যার ফলে এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড় বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠিয়েছে CESC. জুন থেকে ফের শুরু হয়েছে বিদ্যুতের মিটারের রিডিং সংগ্রহের প্রক্রিয়া। ফলে বাড়তি ইউনিটগুলি বিলে যুক্ত হয়েছে।
CESC-র এক আধিকারিক জানান, ‘গরম কালে মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে এপ্রিল ও মে মাসের যে আনুমানিক বিল পাঠানো হয়েছিল বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে তার থেকে বেশি। জুনে সেই হিসাব মেলাতে গিয়ে অনেককে ইউনিটপিছু দাম বেশি দিতে হচ্ছে। যার ফলে বিল অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।’