বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তৃতীয় সদস্যও জনপ্রতিনিধি, জয়ী মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী

যাঁর পারিবারিক পরিচয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ। সুতরাং তৃতীয়জনও জনপ্রতিনিধি হয়ে গেলেন।

কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল একে একে বেরিয়ে আসছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ জোড়াফুল ঝড় দেখা যাচ্ছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। এবার জয়ী হলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সাড়ে ছ’হাজার ভোটে জিতলেন তিনি। জীবনে প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর পারিবারিক পরিচয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ। সুতরাং তৃতীয়জনও জনপ্রতিনিধি হয়ে গেলেন।

কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরীকে এবার এখান থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। কাজরীর হয়ে কালীঘাট মোড়ে প্রচারসভায় বক্তৃতা করে ভ্রাতৃবধূকে ভোকাল টনিক দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সকাল থেকেই তিনি এগিয়ে ছিলেন বড় ব্যবধানে। অবশেষে এলো প্রত্যাশিত জয়।

এদিকে দক্ষিণ কলকাতার সবকটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাজরীর বিরুদ্ধে বামেরা প্রার্থী করেছিল মধুমিতা দাসকে। বিজেপি ইন্দ্রজিৎ কার্তিককে প্রার্থী করেছিল। কংগ্রেস প্রবীর কুমার পালকে প্রার্থী করে। কিন্তু কেউ ধারে–কাছে আসতে পারেননি। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে বিতর্কও হয় এবারের পুরসভা নির্বাচনে।

কাজরীর মনোনয়ন দাখিলের পর তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। কিন্তু কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে তিনি প্রায় সাড়ে ছ’হাজার ভোটে জয়ী হন। সকালেই জয়ের খবর আসে—১৪০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু মহম্মদ তারিক, ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তারক সিং, ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমিত সিং, ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি বাগ।