গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাড়ি থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এখন তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ করবে? এই ঘটনায় বিরোধীরা বেশ অক্সিজেন পেয়েছেন। নানারকম কটূক্তি থেকে টিপ্পনি হজম করতে হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের রেশ কাটেনি। তারপরই অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে দল সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেবে বলে অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
ঠিক কী বলেছেন সাংসদ? আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্গেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘স্বচ্ছভাবে প্রশাসন চলে। সরকার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। সিবিআইয়ের জমে থাকা কেসের পাহাড়ও জানি। একেকটা তদন্ত শুরু করে শেষ করতে পারে না। দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। দল নজরে রাখছে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেবে দল। তৃণমূল কংগ্রেস কোনওরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। কিছুদিন আগেই নজিরবিহীনভাবে এক অভিযুক্ত নেতাকে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেটা অন্য কোনও রাজ্যে হয় না, সেটা এই রাজ্যে হয়েছে।’
বিজেপিকে কেমন নিশানা করেছেন সাংসদ? বিজেপিকে নিশানা করে শান্তনু সেন বলেন, ‘সিবিআইয়ের এফআইআরে থাকা অনেক বিজেপি নেতা রয়েছেন, যাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করুক। এটা আমাদের দাবি। সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী এখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান।’
বিজেপি নেতারা পাল্টা কী বলছেন? এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইট করে লিখেছেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের খেলা শেষ... লাইনে আরও অনেকে রয়েছেন।’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, তৃণমূল নেতারা জেলে। এবার জেলে থেকে বিশ্রাম করুন। লুকোচুরির শেষে ধরা পড়ে গিয়েছেন।’