ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠল তার পরিবারের অন্দর থেকে। দেবাঞ্জনের জ্যেঠতুতো দাদা কাঞ্চন দেবের দাবি, তিনি দেবাঞ্জনের অধীনে তাঁর কসবার অফিসেই কাজ করতেন। কিন্তু কখনো বুঝতে পারেননি দেবাঞ্জন ভুয়ো IAS. এমনকী একথা জানত না তাঁর অধীনে কর্মরত ১০- ১২ জন কর্মীর কেউই।
কাঞ্চনবাবু বলেন, নিয়ম মেনে পরীক্ষা নিয়ে আমাকে পুরসভার কর্মী বলে নিয়োগ করেছিল দেবাঞ্জন। দেওয়া হয়েছিল নিয়োগপত্রও। দফতরের কন্ট্রোলিং অফিসারের পদ দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই ছিল না। প্রতি মাসে বেতন জমা পড়ত কলকাতা পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে। তাই চাকরির বৈধতা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি কোনও পরিচয়পত্র। অথচ দেবাঞ্জন যাদের দ্বারা পরিবেষ্ঠিত থাকত তাদের সবার কাছে পরিচয়পত্র ছিল।
তিনি বলেন, অফিসের মধ্যে সব সময় চাপের পরিস্থিতি বজায় থাকত। যার জেরে বেশ কয়েকবার পদত্যাগ করতে যাই আমি। একবার এক কর্মীকে ডায়মন্ড হারবার নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এব্যাপারে আমাকে মুখ খুলতে নিষেধ করেন দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠরা। আমি কেন, দফতরের আরও ১০-১২ জন কর্মীর কেউই বুঝতে পারেননি দেবাঞ্জন ভুয়ো আধিকারিক।
কাঞ্চনবাবুর চাঞ্চল্যকর দাবি, দেবাঞ্জনের অফিসে যাতায়াত ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। তবে তৃণমূলের কোনও বড় নেতাকে কখনও দেখেননি তিনি। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, দেবাঞ্জন যে ভুয়ো টিকা দিচ্ছে তা জানা ছিল না তাঁর। তাই সেই টিকা নিয়েছিলেন তিনি নিজেও।