মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সুতরাং রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় গেল এবারও। এই নিয়ে আজ রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি–সিপিআইএম এই নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। যদিও সরকার সরকারি কর্মীদের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায়।
ঠিক কী বলেছেন তাপস রায়? এই রায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘ডিএ না দেওয়ার কথা রাজ্য সরকার কখনও ভাবেনি। সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী সব সময়েই সরকারি কর্মীদের পাশে আছেন। আগেও তিনি ডিএ নিয়ে যা বলার বলেছেন, করেছেন, দিয়েছেনও। বিষয়টি একেবারেই বিচারাধীন। রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকারের এজি এবং উচ্চ ন্যায়ালয় এবং বিচারপতির বিষয়। নিশ্চয়ই তাঁরা এটা ঠিক করবেন। প্রয়োজনে যা করার তা করবেন। আদালতের কোনও আদেশের উপরে তো কিছু বলা যায় না।’
ঠিক কী বলেছে বিজেপি? কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্য সরকারের গালে ‘থাপ্পড় মারল’ ডিভিশন বেঞ্চ বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার এই মামলা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের গালে যথারীতি থাপ্পড় মেরে আবার পাঠিয়ে দিয়েছে। বলেছে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল। রাজ্য সরকারকে বারবার বলছি, খেলা, মেলা করবেন আপত্তি নেই। কিন্তু যাঁরা ডিএ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যে সব বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না, যারা কর্মসংস্থান পেয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে ৩০ শতাংশেরও বেশি ফারাক হয়ে যাচ্ছে তাঁদের।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে আপিল করতে পারেন রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সরকার ডিএ দিতে চায়। তার জন্য একটু সময় চাইছে। আর এই নিয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘আজকে আদালতের রায়ে আবার ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এর পরেও ওদের লজ্জা হবে কি না জানি না।’