সরকারি সমস্ত পরিষেবা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন কিনা সেটা জেলা সফরে গিয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা দিলে কথাও রাখেন। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছেন তিনি। আর এবার সবুজ সাথীর সাইকেল একসঙ্গে পেতে চলেছে আরও ১২ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া। এটা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। গ্রামীণ রাস্তায় যানবাহন সর্বত্র যায় না। তাই পড়ুয়াদের জন্য তিনি চালু করেছিলেন সবুজ সাথী। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে? পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন আসন্ন। তাই কোথাও কোনও খামতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এই পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় সবুজ সাথীর সাইকেল পৌঁছে দেওয়া নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই সবুজ সাথী পোর্টালের মাধ্যমে সাইকেল দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দফতর। আগামী ৫–৭ দিনের মধ্যেই সেই কাজ শুরু হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সবুজ সাথীর সাইকেল নবম শ্রেণির ছাত্র–ছাত্রীদের দেওয়া হয়। আগামী একসপ্তাহের মধ্যেই অষ্টম পর্যায়ে সবুজ সাথী পোর্টালের মাধ্যমে সাইকেল বিলি হবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবম শ্রেণির ১২ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮৭ জন ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়ার জন্য সবুজ সাথী পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী তিন মাসের মধ্যে সেই পড়ুয়াদের সাইকেল বিতরণ করা হবে।
ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে ৬১৫টি জায়গা থেকে সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হবে রাজ্যের ৮৭৬৩টি স্কুলকে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই সাইকেল বিলির কাজ শেষ করার জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি জেলাকে যাতে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ৪ হাজার করে সাইকেল পাঠানো যায় সেটা জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে রাজ্যে সাইকেল হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেন।