গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ। প্রতীকী ছবি
আবারও পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুইজন বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোবাইল এবং মানিব্যাগ ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হল বিক্রম সিং ওরফে ভিকি এবং সুরোজ ঝা। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্রম সিং ট্যাংরার বাসিন্দা এবং সুরোজ তোপসিয়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি বাইকে করে সল্টলেক এলাকায় ঘোরাফেরা করত ওই দুষ্কৃতীরা। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে পথচারীদের থামিয়ে তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করত এবং স্থানীয় থানা থেকে সেগুলি সংগ্রহ করতে বলত।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই দুষ্কৃতীরা মাদক চোরাচালানের অভিযোগ এনে অসীম কুমার বল্লভ নামে এক নিরাপত্তারক্ষীর পথ আটকায়। এরপর তারা অসীমের মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় এবং সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে জানতে পারে দুজনেই ভুয়ো পুলিশ। শেষে বিধাননগর উত্তর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও বেশ কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে তারা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করেছিল। সম্প্রতি এই ধরনের অভিযোগ পাচ্ছিল পুলিশ। তারপরেই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। ওই রাতে অসীম কুমার বল্লভের বাইক থামিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল এবং মানিব্যাগ ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। এমনকী তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছিল। ঘটনার পর অসীম বাবু তাঁর বন্ধুদের বিষয়টি জানান। এরপর সেই পথ ধরে বাইকে করে পিছু ধাওয়া করেন অসীমবাবু ও তার বন্ধুরা। কিছুক্ষণ পরে একটি স্কুলের কাছে ছিনতাইবাজদের বাইক থামাতে সক্ষম হন তারা। এরপর দুষ্কৃতীদের বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত দুজনকে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত? আরও কাদের সঙ্গে তারা এই ধরনের কাজ করেছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে ভবানীপুর, তপসিয়া, বটতলা এলাকায় একই কায়দায় ছিনতাইয় করেছে তারা। অভিযোগ, গত ১১ তারিখ সল্টলেকের আমূল আইল্যান্ডে ও এই দুজন ছিনতাই করেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধৃত দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্যান্য স্থানীয়দের ও শাসানী দিয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দারা ভয় না পেয়ে থানায় খবর দিয়ে পুলিশকে ডাকেন। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা কার্যত ভেঙে পড়ে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup