তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি করলেন বিজেপি'র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের উত্থান এবং রাহুল সিনহার পতন। এই নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী প্রকাশ্যেও বিদ্রোহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু গেরুয়া শিবির তাতে আমল দেয়নি। কয়েকদিন আগে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে। ওই দিনই রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেন টুইটারে। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। এবার বিতর্ক উসকে দিলেন পোড়খাওয়া বিজেপি নেতা।
নতুন কমিটি ঘোষণার পর রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে রাহুল বলেছিলেন, আমি যা বলার ১০–১২ দিনের মধ্যে বলব এবং আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করব। এখন প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল। তিনি ভবিষ্যৎ জানাতে পারেননি। কিন্তু এই বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমার অবস্থান যা ছিল তাই রয়েছে। এতদিন তো কাজ করলাম। এখন একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। কুড়ি দিন হয়েছে। আরও কয়েকদিন হবে। তবে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের দুই সম্মানীয় নেতা। পৃথক পৃথক ভাবে দু’জন ফোন করেছিলেন। তাঁরা জানতে চাইছিলেন, আমি কী চিন্তা করছি। আগামী দিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে, ইত্যাদি। এটুকুই আর কী! সৌজন্য ফোন যেমন হয় সেটাই।’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপিতেই থাকছেন, নাকি তৃণমূলে যাচ্ছেন? রাহুল বলেন, ‘যখন কিছু বলার হবে, তখন ঠিক সময় মতো আপনাদের জানাব।’ উল্লেখ্য, বিজেপি’র নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন তৃণমূলের দুই প্রাক্তন নেতা মুকুল রায় এবং অনুপম হাজরা। আর তাতেই প্রাক্তন হয়ে যাওয়া জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার ক্ষোভ তৈরি হয়।
কয়েকদিন আগে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে রাহুল বলেছিলেন, চল্লিশ বছর বিজেপি’র সেবা এবং বিজেপি’র একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপি’র সেবা করার পুরস্কার এটাই। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছে, তাই আমাকে সরতে হবে। এর থেকে বড় দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না।
তবে রাহুল সিনহা সামনে বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দর হাঁকাতেই এই তৃণমূল যোগের কথা উসকে দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।