যাত্রী পরিবহণ পরিষেবায় সুবিধা দিতে বুধবার থেকে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের জেলা ও শহরে বাস চালালেন বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ।
লকডাউন বিধি শিথিল করা হলেও গণপরিবহণ ব্যবস্থায় যে ডামাডোল দেখা দিয়েছে, তার এখনও সুরাহা হয়নি। ফলে কাজে বেরিয়ে নিত্য হেনস্থা হচ্ছেন রাজ্যবাসী। কলকাতা ও শহরতলিতে সোমবার থেকেই এর ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অফিসাত্রীরা।
করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে বাসে কম সংখ্যক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ রযেছে প্রশাসনের। এ দিকে মুষ্টিমেয় সওয়ারি নিয়ে বাস চালাতে হলে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় বাস মালিকরা। তাঁদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান মেলেনি। মাঝখানে পড়ে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। বাস যাচ্ছে কলকাতা, আসানসোল, বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম রুটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাসে যাত্রী সংখ্যা দেখা গিয়েছে নগণ্য। অন্য দিকে বেসরকারি বাসের আকালে কলকাতার অফিসযাত্রীরা নাগাড়ে তিন দিন চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন। ভিড় উপচে পড়ায় মেট্রোরেল পরিষেবায় চুলোয় উঠেছে সামাজিক নিরাপত্তা-সহ যাবতীয় করোনা স্বাস্থ্য বিধি। ফলে প্রমাদ গুণছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
এ দিন বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মালিকদের একাংশ কলকাতা ও রাজ্যের জেলাগুলিতে রাস্তায় কিছু বাস নামিয়েছেন। বর্ধিত ভাড়া সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি বলে যাত্রীদের কাছে তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু বেশি ভাড়ার আবেদন জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে সংগঠন। তবে তাতে অসুবিধা দেখা দিলে আপাতত পুরনো ভাড়াতেই বাস চালানো হবে বলে ঠিক করেছেন বাস মালিকরা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে কিছু স্বস্তি ফিরেছে নিত্যযাত্রীদের।