দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আগেই বলা হয়েছিল।তবে এবার বলা হচ্ছে এখনই যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। আপাতত ব্রিজের ডিভাইডার সরানোর কাজ চলছে। মূলত গাড়ির যান নিয়ন্ত্রণ না করেই কীভাবে আপাতত কাজ চালানো যায় তার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গাড়ির গতি হয়তো কিছুটা শ্লথ হতে পারে। তবে যান নিয়ন্ত্রণ এখনই নয়। আসলে আট মাস ধরে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। সেই মতো বুধবার থেকেই বিদ্যাসাগর সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, আংশিক বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার সামনে এল নয়া নির্দেশিকা।
জানা গিয়েছে প্রথম দফায় সেতুর ডিভাইডার ভাঙার কাজ হবে। তারপর ধাপে ধাপে শুরু হয় সেতু মেরামতির কাজ। সেকারণে যতদিন ডিভাইডার ভাঙা হচ্ছে ততদিন ব্রিজের উপর দিয়ে গাড়ি চলবে। তবে কোথাও যাতে সমস্যা কিছু না হয় সেব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
তবে যখন মূল কাজ হবে তখন সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। তার আগে পর্যন্ত নয়। হাওড়া ও কলকাতার দিকে দুটি করে লেন দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা যাবে।
কেবল বদলানোর সময়তেও বাকি লেনগুলি দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে বড় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মোটের উপর আপাতত সপ্তাহ দুয়েক গাড়ি যেমন চলছিল তেমনটাই চলতে পারে। ততদিনে ডিভাইডার ভাঙার কাজ শেষ হবে। তারপর মূল কাজে হাত দেওয়া হবে। ততদিনে প্রয়োজনীয় কাজ অনেকটাই এগোবে। সেই মতো এখনই সেতু আংশিকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে না। কারণ সেতু আংশিকভাবে বন্ধ করা হলে অন্যান্য রাস্তার উপর প্রচুর চাপ পড়ে যাবে। সব দিক বিবেচনা করে পা ফেলা হচ্ছে। তবে মূল কাজ শুরু হলে ট্রাক, ট্রেলারের মতো গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এদিকে বিকল্প রাস্তা হিসাবে কেপি ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, নেতাজি স্ট্যাচু, গভর্নমেন্ট প্লেস ইস্ট, ধর্মতলা, সি আর অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, টালা ব্রিজ, বিটি রোড, ডানলপ ও নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিল। তবে যান নিয়ন্ত্রণ এখনই না করা হলে আপাতত ওই রাস্তা দিয়েই গাড়ি যেতে পারবে। তবে এব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেই তারপর ওই রুটে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। কারণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশে বদলও হতে পারে পরবর্তীতে।