বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > আমার বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই, শরীর জীর্ণ, তবুও লড়াই করছি- অসুস্থতার কথা জানালেন মমতা

আমার বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই, শরীর জীর্ণ, তবুও লড়াই করছি- অসুস্থতার কথা জানালেন মমতা

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বামফ্রন্ট সরকারের সময় অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও তিনি লড়াই–সংগ্রাম চালিয়ে যান। কত কষ্ট করে রাজনীতি করেছেন—সে কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সারা শরীরে তাঁর রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। এত লড়াই সংগ্রাম করে আজ তিনি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছেন। ঘোরতর অসুস্থ অবস্থাতেই কাজ করছেন আজও।

ছাত্র জীবনে তাঁকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সময় অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও তিনি লড়াই–সংগ্রাম চালিয়ে যান। কত কষ্ট করে রাজনীতি করেছেন—সে কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সারা শরীরে তাঁর রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। এত লড়াই সংগ্রাম করে আজ তিনি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছেন। ঘোরতর অসুস্থ অবস্থাতেই কাজ করছেন আজও। জীবনের শুরুতে দুধের ডিপোতেও কাজ করেছেন। হ্যাঁ, এই কথাগুলি বলেছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে এমন কথা। আজ তিনি অসুস্থ বলেও জানিয়েছেন। চিকিৎসক দেখানোর সময় পর্যন্ত পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘‌ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে আমি দুধের ডিপোতে কাজ করেছি। সেই টাকা আমি ব্যানার–পোস্টার ও দরিদ্র লোকের জন্য খরচ করতাম। বিএ পার্ট ওয়ান পরীক্ষার দিন ডান হাতের বুড়ো আঙুল বোতলে খ্যাঁচ করে ঢুকে যায়। তাই নিয়েই পরীক্ষা দিয়েছি। ভোর ৪টেয় উঠতাম। আমার প্রতিপক্ষে ছিল ডিএসও। আমাকে টানার চেষ্টা করেছিল। আমি কী করে যাব। আমি কংগ্রেস করতাম। আমার বাবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁর কাছে গল্প শুনে আমার মনটাই স্বাধীনতা আন্দোলনে জাগরিত হয়েছিল। তাই অন্য কোনও দলে যেতে পারিনি।’‌

এদিকে কেমন আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেটা যে উঠবে তিনি জানতেন। তাই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি নিজের মুখেই শারীরিক অবস্থার কথা বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমার বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই। শরীর জীর্ণ, তবুও লড়াই করছি। ইদানীং আমার চোখে সমস্যা হয়েছে। আমি দেখানোর সময় পাচ্ছি না। আমার সারা শরীর জীর্ণ। সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম তো অনেক পরে হয়েছে। তার আগে কত ঘটনা ঘটেছে সেটা আপনারা জানেন? একদিন রটে গিয়েছিল আমি মারা গিয়েছিলাম। পার্লামেন্ট ১ দিন স্থগিত পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। তবুও আমি লড়াই করেছি সিপিএমকে সরাতে এবং সরিয়েছি। এবার আমরা বিজেপিকে সরাবো।’‌

আরও পড়ুন:‌ কাউন্সিলর্স ক্লাব রুমে প্রবেশে হোয়াটসঅ্যাপ করতে হবে, নয়া নির্দেশিকা জারি

অন্যদিকে তাঁর শরীরের নানা স্থানে ক্ষতচিহ্ন যে রয়েছে তার বিবরণও তুলে ধরেন তিনি। সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‌সিপিএমের আমলে তিনবার মাথায় ডান্ডা মেরেছে। আর একটু হলে ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যেত। কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছি। বারবার কোমরে আঘাত করা হয়েছে। তাই সারাজীবন কোমরে বেল্ট বেঁধে থাকতে হয়। পায়ে একের পর এক আঘাত করা হয়েছে। তাই নিয়ে চলছি। বলতে পারেন, আমি জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি। কংগ্রেস করার সময় একদিন দেখলাম কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে এমন অবস্থা করল যে, একুশে জুলাইয়ের ১৩ জন শহিদ হয়ে গেল। কংগ্রেস একটা লোক পাঠাল না। তদন্ত করল না। আমতার কান্দুয়ায় হাত কেটে দেওয়া হল। লোক পাঠাল না। মেমারিতে চারজন নকশাল নেতাকে কুচি কুচি করে খুন করা হয়েছিল। একটা লোককেও পাঠায়নি। আমি হলদিয়ায় মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের মাইক দেওয়া হয়নি। এমনকী চা কলকাতা থেকে করে নিয়ে গিয়েছি। চমকাইতলায় আমরা স্টেজ বেঁধেছি। মিটিংয়ের পর অজিতদাকে আটকে দিল রাস্তায়। চারিদিকে চলছে গুলি। আমি বললাম চালাও গুলি, আমি কেয়ার করি না।’‌

বন্ধ করুন