মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। মোটের ওপর নিশ্চিভাবে এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া পূর্বাভাসের সর্বাধিক প্রচলিত ব্যবস্থা GSF. যদিও ঝড়ের অভিমুখ ভারতের উপকূলের দিকে থাকবে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাসে জানাচ্ছে তারা। তবে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমফানের পূর্বাভাসের একাধিক সূত্র মিলে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এখনো পর্যন্ত পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ৮ মে ভারত মহাসাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১০ মে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ১২ মে মায়ানমারের আরাকান প্রদেশে ভূভাগে আঘাত করবে ঝড়ের কেন্দ্র। এই পূর্বাভাস ঠিক হলে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুব কম।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার এই প্রাথমিক পূর্বাভাসে নিশ্চিন্ত নন আবহাওয়াবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আমফানের সঙ্গে এই ঝড়ের অনেক মিল রয়েছে। আমফানের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসের বেশ কয়েকদিন পর সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণাবর্তটি। ১৩ মে ২০২০ সালে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল তা পরে আমফানের চেহারা নেয়। দ্বিতীয়ত, যেখানে আমফানের ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল প্রায় সেখানেই তৈরি হতে পারে আসন্ন ঝড়ের ঘূর্ণাবর্তটি। তাছাড়া আমফানের প্রাথমিক পূর্বাভাসে ঝড়টি বাংলাদেশ বা মায়ানমারে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সেটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের সঙ্গে এবছর আবহাওয়া পরিস্থিতির ফারাক রয়েছে। বর্তমানে এল নিনো চলছে। ফলে এত আগে থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তবে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের ঝড়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিশেষ করে ফসল ও আম – লিচু পেকে উঠলে বাজারজাত করে যতটা সম্ভব দাম তুলে নেওয়া উচিত। শেষ মুহূর্তে বিক্রি করতে গেলে তাঁরা সঠিক দাম না-ও পেতে পারেন।