মালদার দুই কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী এবং মোস্তাক আলমের সমর্থনে রবিবার প্রচারে এলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বক্তব্যের আদ্যপান্ত মোদী সরকারের বিরোধিতা থাকলেও মমতা প্রসঙ্গে কার্যত নীরবই থাকলেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলী প্রসঙ্গেও খাগড়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
গনি খান প্রসঙ্গ
মালদার দুই কংগ্রেস প্রার্থী সমর্থনে প্রচারে আসার কথা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার। কিন্তু তিনি অন্যত্র প্রচারে ব্যস্ত থাকায় প্রচারে আসেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। খুব স্বাভাবিক ভাবে তাঁর বক্তব্যে চলে আসে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বরকত গনি খান চৌধুরীর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'বরকত সাহেব কেন্দ্রে রেল, সেচ, কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী ছিলেন। বরকতদা এই রাজ্যের মানুষের জন্য প্রচুর কাজ করেছিলেন। কলকাতায় চক্ররেল আর দেশের প্রথম মেট্রো তাঁরই দান। কিন্তু এখন কেউ কেউ এসব কাজ নিজের বলে দাবি করছে। আসলে আমরা যা করেছি, অন্যরা তা উপভোগ করছে। আর মোদীজি এমনভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয় ২০১৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে।'
তিনি মৌসম বেনজির নূরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'অন্য দলে গিয়ে মৌসম নূরের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। তিনি দল ছাড়তে চাইছেন।' যদিও তিনি সেই দলের নাম বলেননি।
আরও পড়ুন। রোদে আচমকা অসুস্থ বালিকা,বক্তৃতা থামিয়ে নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠালেন প্রার্থী
মোদী সরকারকে নিশানা
কংগ্রেসের কেন ক্ষমতা আসা জরুরি তা ব্যাখ্যা করে খাড়গে বলেন, 'আমরা যদি ক্ষমতায় না আসি, তবে এই দেশে গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে। সংবিধানও শেষ হয়ে যাবে। সেটা হলে বিপদ। মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সর্বনাশ। দেশে স্বৈরতন্ত্র চালু হয়ে যাবে। হিন্দু-মুসলিমের ভাতৃত্ববোধ নষ্ট হয়ে যাবে। মোদী বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নাকি হিন্দুদের সম্পত্তি মুসলিমদের হাতে চলে যাবে। এসব কথা যে বলে, তার হাতে কি দেশ সুরক্ষিত থাকবে?'
আরও পড়ুন। ‘দেখবেন বীরভূমের ভোট হয়ে যাবে, কেষ্টও ছাড়া পেয়ে যাবে’, অনুব্রতর প্রশংসা করলেন মমতা
কংগ্রেস সরকারের প্রশংসা
তাঁর মতে, মালদায় কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি বলেন,'কংগ্রেসের আমলেই মালদার উন্নতি হয়েছিল। সনিয়া গান্ধীর আমলেই মনরেগা প্রকল্প চালু হয়েছিল। মনমোহন সিং আর সনিয়া গান্ধী ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট এনেছিলেন। বিনা পয়সায় গরীব মানুষকে খাবার দেওয়া হয়েছিল। মোদী বলতে পারবেন, তিনি মানুষের জন্য কী কী প্রকল্প চালু করেছেন?... এদের ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। আমাদের দল কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, বাংলা থেকে গুজরাত পর্যন্ত বিস্তৃত।'
আরও পড়ুন। ‘বাংলার মা–বোনেদের আত্মসম্মান নিয়ে খেলবেন না’, সন্দেশখালি ইস্যুতে তোপ মমতার