বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত নেই। তবে বসন্তের আমেজ সেই অর্থে নেই। গ্রীষ্মের আগমন যেন হয়ে গিয়েছে। দিনের বেলায় চড়া রোদে টপ টপ করে মাথা দিয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে বঙ্গবাসীর। মার্চের প্রথম ভাগেই এই অবস্থা হওয়ায় গ্রীষ্মের দাপট কোন পর্যায়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে আতঙ্কে বঙ্গবাসী। এদিকে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ক্রমেই দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। পারদ আর নিম্নমুখী হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। এদিকে যেভাবে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ধরে এগোচ্ছে, তাতে চলতি সপ্তাহেই কলকাতার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। অবশ্য তাপপ্রবাহ এখনই শুরু হচ্ছে না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত চারদিনে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। আগামী কয়েকদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি পার করবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
বুধবার আকাশ পরিষ্কার, রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২ ও ২১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৮৯ শতাংশ। এর আগে মঙ্গলবার গরমে কেটেছে বাংলার। হাওয়া ছিল না। এর জেরে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম। এদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে হালকা তুষারপাত ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে।