কলকাতা ও শহরতলিতে বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ফের সরব হল বাসমালিক সংগঠনগুলি। বুধবার বাসমালিক সংগঠনগুলির এক বৈঠকে ন্যূনতম বাসভাড়া ১৪ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। বাসভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত না নিলে ১৫ জানুয়ারির পর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় বৈঠকে বসেছিল বাসমালিকদের ৬টি সংগঠন। সেখানেই ফের বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবি ওঠে। বাসমালিকদের দাবি, গত কয়েক মাসে ডিজেল, টায়ার থেকে বিমা সবেরই খরচ বেড়েছে। কিন্তু যাত্রী বাড়েনি। লোকাল ট্রেন চললে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে বলে যে ধারণা করা হয়েছিল তাও ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। ফলে বাসভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া রাস্তা নেই।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লকডাউনের পর বাস চালানোর জন্য সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কোনওটাই পালন করেনি। যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় কোনও রুটের সমস্ত বাস একদিনে রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না। যে বাস চলছে তাতেও লোকসানের বহর বইতে বইতে বাস মালিকরা ক্লান্ত।’
সরকারের নবগঠিক পরিবহণ বিষয়ক কমিটির সভাপতি মদন মিত্র বলেন, ‘বিদায়ী পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বাস সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথাই বলেনি। তাই সমস্যার সমাধানও হয়নি। এই সমস্যা তাঁর তৈরি। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবো।’
লকডাউনের পর বিধিনিষেধ মেনে বাস পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাসভাড়া মালিকরা ঠিক করবেন। এর পর নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নিতে থাকে বিভিন্ন বাসরুট। এতে জনমানসে বিক্ষোভ তৈরি হলে মুখ্যসচিব জানান বাসভাড়া বাড়ানো যাবে না। এর পর ধীরে ধীরে বাস বসিয়ে দিতে শুরু করেন বাসমালিকরা। সেই থেকে বাসভাড়া নিয়ে জটিলতা চলছে।