সাত বছর পরে উচ্চপ্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরির অ্য়াকসেপটেন্স লেটার পেয়েছেন দেড়শোর বেশি স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা। কিন্তু সেই লেটার পাওয়ার পরেও দেখা যাচ্ছে কার্যত ভুলে ভরা। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যে ঠিকানার কথা বলা হয়েছে সেটাও ভুল। আবার যে সংরক্ষিত পদে ওই স্কুলে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল স্কুলে সেই পদটাই নেই। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে যে বিষয়ের তিনি শিক্ষক সেই বিষয়ে কোনও শূন্যপদই নেই স্কুলে। কাউন্সেলিংয়ের সময় ওই স্কুলগুলি বেছে ছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু সেই তালিকাও বিভ্রান্তি ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার জেরে মহা আতান্তরে পড়ে যান তারা। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সুযোগ মিললেও চিঠিতে রয়েছে নানা সমস্যা।
এদিকে সূত্রের খবর, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে শূন্য়পদের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুসারেই স্কুল ঠিক করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেখানেই তবে আগে থেকে ভুল থেকে যায়। তার মাসুল গুনতে হচ্ছে শিক্ষকদের। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই বিপত্তিতে পড়ছেন শিক্ষকরা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন স্কুল শিক্ষা দফতর এনিয়ে সতর্ক হল না। বার বার নানা ক্ষেত্রে ভুল হচ্ছে তারপরেও কেন সতর্ক হল না স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে আপাতত স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে সমস্য়া মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্কুলের ঠিকানা হিসাবে যে জায়গার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই জায়গার সঙ্গে স্কুলের ঠিকানার কোনও মিল নেই। আবার দেখা যাচ্ছে সংরক্ষিত পদে শিক্ষক নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ওই স্কুলে ওই পদে শিক্ষকের কোনও শূন্য পদই নেই। তবে বিকাশ ভবন দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য তৎপর হয়েছে বলে খবর।