সম্প্রতি বিজেপিকে কার্যত চাকরি খেকো বলে কটাক্ষ করেছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এবার বিরাট চাকরিরআশ্বাস দিলেন মমতা। কুলটির সভা থেকে তিনি একের পর এক ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আসানসোলে গ্যাসের সন্ধানে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। লোকাল ছেলেমেয়েরা চাকরি পাবে। পাশেই দেউচা পাঁচামি। ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ১ লাখ লোকের চাকরি হবে। আর ডানকুনি থেকে পানগড়, পানাগড় থেকে রঘুনাথপুর, পানাগড় থেকে উত্তরবঙ্গ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরি হচ্ছে। অনেক লোকের চাকরি হবে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। একটু ভাবুন। যিনি দাঁড়িয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার মাধ্য়মে, তিনি কোন ওষুধের মাধ্য়মে ভোটে জিতেছিলেন। কাউকে ১, কাউকে ৫, কাউকে ১০। ওকে বলুন ১৫ লাখ করে দিতে হবে। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আমি সবাইকে ১৫ লাখ করে দেব ক্ষমতায় এলে। ৫-১০ হাজারে চলবে না। যে প্রার্থী এসে বলে প্যাকেট দেয়, তবে বলবেন ১৫ লাখ করে দিন। প্যাহেলে বাবুল সুপ্রিয় থা। বিজেপি মে থা। …’বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা হিন্দিতে বলেন, আজ চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ প্রায় চলে যাচ্ছে। যদি দিল্লিতে বিজেপি সরকার হয় তবে দেশের ক্ষতি হবে। মোদী দেশকে বিক্রি করে দেবে। ওরা সবাইকে বেচে দেবে। ওরা বেচার জন্য় এসেছে। বলছে তৃণমূল চোর হ্যায়। প্রমাণ দেখাও। ১০০ দিনের কাজের টাকা যারা পায়নি তাদের পাশে রয়েছে সরকার।
এদিকে এর আগে বুধবার বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে সভা করেন মমতা। সেখানে মমতা বলেছিলেন, ‘ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। নিজেরা চাকরি দেয় না, কোন ডিপার্টমেন্ট কী ভাবে চাকরি দেয় সেটা সেই ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার। আমি ইন্টারফেয়ার করি না। কিন্তু আমার খারাপ লেগেছে। বারে বারে দেখছি। বলছে ২৬ হাজার টিচারকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার বলছে ১ মাসের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ দিয়ে তাদের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। বিজেপি নেতাদের বলি, যারা এই সব কেস করে শিক্ষক – শিক্ষিকার চাকরি খাচ্ছো সারা জীবন সরকারি চাকরি করার পর যদি সেই টাকা ফেরত দিতে বলা হয়, পারবেন দিতে'?
তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, 'তাহলে এই ২৬ হাজার ছেলে - মেয়ে যাবে কোথায়? বাংলায় কি সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? টিচারের চাকরি তার মানে কি আর হবে না? আমার হাতে এখনও সরকারি দফতরে ১০ লক্ষ এক্সট্রা চাকরি আছে। এই কোর্ট গেলেই আটকে দিচ্ছে। বিজেপির একটা মহাতীর্থ কেন্দ্র। সেখানে বিজেপি PIL করলেই একেবারে যা বলবে তাই। আর অন্য কেউ যদি বিচার চায় তাদের জন্য দরজা বন্ধ’।