কোনওটার ঠিকানা আছে অথচ সেই ঠিকানায় গেলে দেখা দেখা মিলবে না ভবনের। আবার কোনটার নাম নিয়ে চলছে ভুয়ো বিএড কলেজ। রাজ্যের পাঁচটি বিএড কলেজের রিপোর্ট পেয়ে হতবাক কলকাতা হাই কোর্ট। বিএড পড়ানোর নামে কার্যত ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে পডুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। অবিলম্বে কোন বিএড কলেজের অনুমোদন আছে কোনগুলির নেই তার তালিকা তৈরি করে সংবাদপত্র বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলেজ নিয়ে সঠিক তথ্য মানুষকে জানানোর জন্য নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানিয়েছে, এই ভাবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলতে পারে না। প্রতিষ্ঠানের খোঁজই নেই অথচ ভর্তি করা হচ্ছে। আবার ভর্তির জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ এসেছে, এনসিটিই (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) অনুমোদিত অনেক বিএড কলেজই চলছে নিয়ম না মেনে। কোনও খোঁজখবর না নিয়ে কী করে অনুমোদন দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন করেছে আদালত।
পড়ুন। আলিপুরদুয়ারে চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু? দাবি অস্বীকার জেলা প্রশাসনের
পড়ুন। নিয়ন্ত্রণে সন্দেশখালি, ‘আইনশৃঙ্খলা হাতে নিলেই ব্যবস্থা’, বললেন এডিজি মনোজ বর্মা
পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার বা ভুয়ো ফায়ার সার্টিফিকেট জমার কারণে কতগুলি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যদিও আদালতে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চলতি বছরে তারা অনেক অনেক কলেজকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই সংখ্যা কত তা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে।
পড়ুন। সিএজি রিপোর্ট সঠিক নয়’, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে দাবি খারিজ মুখ্যসচিবের
সেল্ফ ফিনান্সিং বেসরকারি বিএড কলেজগুলির সংগঠন দাবি ছিল, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩০৪টি বেসরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্যের দাবি, ২৫৩টি কলেজকে অনুমতি দেননি তাঁরা। তবে এবার তা স্পষ্ট করে জানানোর জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যাতে কোনও ভাবে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত বা প্রতারণার খপ্পরে না পড়েন।