বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BJP-তে ট্রোজান ঘোড়া নিয়ে অস্বস্তি বাড়তেই নবাগতদের নিয়ে বার্তা স্বপন দাশগুপ্তর

BJP-তে ট্রোজান ঘোড়া নিয়ে অস্বস্তি বাড়তেই নবাগতদের নিয়ে বার্তা স্বপন দাশগুপ্তর

স্বপন দাশগুপ্ত। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে তৃণমূলে ফেরার রাস্তা তৈরি করতে ব্যস্ত বিজেপির অনেক নেতা-কর্মী। এই আবহে ২০১৯ সালের পরে দলে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন স্বপন দাশগুপ্ত।

সাম্প্রতিককালে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায় মুকুল রায় সহ ২০১৯ সালের পর বিজেপিতে যোগ দেওয়া একাধিক নেতাকে তৃণমূলের অনুচর আখ্যা দিয়েছেন। গ্রিক মহাকাব্য ইলিয়াডের 'ট্রোজান ঘোড়া'র সঙ্গে এই তুলনা বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেক নেতাই ভালো চোখে নেয়নি। আবার অনেকেই মুকুলের পথ অনুসরণ করে তৃণমূলে ফেরার রাস্তা তৈরি করতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতি বিজেপিতে এখন ভাঙন রেখা ধীরে ধীরে আরও চওড়া হচ্ছে। এর মাঝএই দলীয় কর্মীদের মনোবল বজায় রাখতে এবং দলকে অক্ষত রাখতে ময়দানে নেমেছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।

এদিন এক টুইটে স্বপন দাশগুপ্ত লেখেন, 'যেসকল নেতা-কর্মীরা ২০১৯ সালের পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে ট্রোজান ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। অনেক নবাগতই নির্বাচনে নিষ্ঠার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের যেন এরম মনে না যে তাঁরা দলে স্বাগত নন। রাজনীতি কখনও বাদ দেওয়ার খেলা হতে পারে না। রাজনীতি হল সমর্থন এবং সাহায্যের মাধ্যমে নতুন নেতা তৈরি করা।'

অবশ্য় এরপর দলবদলুদেরও বার্তা দেন স্বপন দাশগুপ্ত। টুইট বার্তায় লেখেন, 'যাঁরা রাজনৈতিক দলকে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিথার্থের বাহন হিসেবে দেখেন, তাঁধের জন্যে অন্য বিকল্প খুঁজে দেখার দন্যে বাইরে যাওয়ার দরজা সব সময় খোলা।' এর আগে মুকুলকে ট্রোজান ঘওড়া বলে তোপ দেগেছিলেন তথাগত রায়। আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের তোপ দেগেছিলেন অনুপম হাজরা। অনেক বিজেপি নেতারই অভিযোগ, ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনের ফল দেখএ অনেকেই ক্ষমতার লোভে বিজেপিতে এসেছেন।

আবার এই প্রসঙ্গে তথাগত রায়ের মতো নেতাদের তত্ত্ব, মুকুল প্রথমে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন ৷ তারপর দলের সমস্ত স্তরের নেতাদের সঙ্গে ভাব জমিয়েছেন ৷ জেনে নিয়েছেন অন্দরের সমস্ত খবর ৷ আর তারপরই তিনি তৃণমূল মুখী হয়েছেন। এদিকে মুকুলের তৃণমূলের যোগের পর থেকেই বিভিন্ন স্তরে একাধিক বিজেপি নেতারাও দলে নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। যাতে তথাগতবাবুর যুক্তিকে অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীরাই মেনে নিচ্ছেন। আবার একদলের বক্তব্য, এভাবে অবিশ্বাসে ভরা ঘোলাটে কাচের মধ্য দিয়ে যদি দলের প্রতিটি নবাগত নেতা-কর্মীকে দেখা হয়, তাতে দল আরও ভাঙবে। যাঁরা হয়ত ছেড়ে যেতেন না, তাঁরা ছেড়ে চলে যাবেন।

বন্ধ করুন