ট্রেনে দেবতার জন্য সংরক্ষিত আসন! ভাবছেন, ঠিক পড়ছেন কিনা? হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। কাশী মহাকাল এক্সপ্রেসের একটি আসন শিবের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
রবিবার বারাণসীতে নয়া এই এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রেনটি তিনটি জ্যোতির্লিঙ্গকে (ইন্দোরের ওমকারেশ্বর, উজ্জ্বয়নের মহাকালেশ্বর ও বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ) জুড়েছে।
সেই ট্রেনের বি৫ কোচের ৬৪ নম্বর আসনটি শিবের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। আপার সাইড বার্থের সেই আসনটি রীতিমতো রংবেরঙের কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে। শিবের বাঁধানো ছবিতে মালা দেওয়া হয়েছে। ধূপ দিয়ে পুজো করছেন রেলকর্মীরা।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে উত্তর রেলের মুখপাত্র দীপক কুমার বলেন, 'শিব ঠাকুরের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সেটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। একটি মন্দিরও আঁকা হয়েছে যাতে মানুষ বুঝতে পারেন উজ্জ্বয়নের মহাকালের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।'
আসনটি কি তাহলে শুধু প্রথম যাত্রায় শিবের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছিল নাকি বরাবরের জন্য সংরক্ষিত থাকবে? এদিন বিবৃতি দিয়ে আইআরসিটিসি জানিয়েছে, একবারই সংরক্ষিত করা হয়েছে। নয়া প্রকল্পের 'সাফল্য' প্রার্থনার জন্য উদ্বোধনী যাত্রায় আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ এক্সপ্রেস যাতাযাত শুরু করলে এরকম কোনও নির্দিষ্ট সংরক্ষিত আসন থাকবে না।
যদিও রেলের সিদ্ধান্ত কয়েকটি মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার একটি ছবি পোস্ট করেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে ট্যাগ করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সরাসরি কিছু না বললেও রেলের সিদ্ধান্ত যে আদতে সংবিধান পরিপন্থী তা বোঝাতে চেয়েছেন ওয়েইসি।