সদ্য আজ (মঙ্গলবার) দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসব স্পেশাল ট্রেনের পরিষেবা। আর প্রথমদিনেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ল কলকাতাগামী একটি ট্রেন। বিহার লাইনচ্যুত হয়ে গেল গোরখপুর-কলকাতা পুজো স্পেশাল ট্রেনের দুটি কামরা। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার সিলাউত এবং সিহো স্টেশনের মাঝে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ ট্রেনের একটি এসি কোচ এবং একটি স্লিপার কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। কেউ আহত হননি। তবে ওই রুটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, উৎসবের মরশুমে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ২০ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর দেশজুড়ে অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। তারপর ১৩ অক্টোবর রেলের তরফে জানানো হয়, ওই সময়ের মধ্যে দেশে ৩৯২ টি বিশেষ ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘উৎসবের সময় বাড়তি চাপ সামাল দিতে ১৯৬ জোড়া (৩৯২ টি ট্রেন) উৎসব বিশেষ ট্রেনে অনুমোদন দিয়েছে রেল মন্ত্রক। যা আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চলবে। বিশেষ ট্রেনের মতোই সেই ট্রেনের ভাড়া থাকবে। ট্রেনগুলির সূচির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে আঞ্চলিক রেল।’
বিশেষ ট্রেনে যে হারে ভাড়া নেওয়া হয়, সেইমতো নয়া ৩৯২ টি ট্রেনে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে ‘বিশেষ চার্জ’ ধার্য করা হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা কোন শ্রেণিতে টিকিট কেটেছেন, তার ভিত্তিতে মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় ১০-৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ‘বিশেষ চার্জ’ ধার্য করা হয়। বাকি শ্রেণির জন্য ‘বিশেষ চার্জ’ পড়ে ৩০ শতাংশ।