দুর্নীতিরও অভিযোগ ওঠেনি, শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর তাতেই কঠোর পদক্ষেপ বিহার সরকার। গোটা পরীক্ষাই বাতিল করে দিল সরকার। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তার প্রমাণ পাওয়ার পরেই পরীক্ষা বাতিল করে দেয় সরকার। সরকারের এমন পদক্ষেপ কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন শিক্ষা মহলের বিশেষজ্ঞরা। তার পরিবর্তে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক হতে চান? একবারে ৮৭ হাজার পদে নিয়োগের ঘোষণা রাজ্য সরকারের
বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল গত ১৫ মার্চ। তারপরেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীরা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে কমিশন ও বিহার পুলিশ। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৩০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাধারণত, রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ পাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করে দেয় কমিশন। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিট প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে যাতে স্পষ্ট যে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। তার ভিত্তিতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন যথাসময়ে পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করবে। প্রার্থীদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যদিও কবে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে সেবিষয়ে কমিশনের তরফে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তবে দ্রুত পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে কমিশনের তরফে জানান হয়েছে। এরজন্য প্রার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং কমিশনের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নজর রাখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পরীক্ষার মাধ্যমে ৮৭,৭৭৪টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করবে বিহার সরকার। সামনেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ফলে কোনও বিতর্কে না গিয়ে অভিযোগ ওঠের পরেই পদক্ষেপ করল বিহার সরকার।