ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT)-র দুই ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁদের নিয়ে টানাটানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের দুটি তাবড় প্রযুক্তি সংস্থার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI-এর প্রভাব কমেই বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই বিষয়ে দক্ষ পেশাদারদের চাহিদা। আর সেই কারণেই বর্তমানে ৩ ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। এর মধ্যে ২ জন আইআইটির। আরও পড়ুন: IIT Kharagpur: করোনার সময় থেকে বন্ধ গেট, খোলার দাবিতে প্রতীকী অবস্থানে IIT-র অধ্যাপকরা
শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটাচারি, স্টিভেন বেকার এবং আনন্দ শুক্লা। এঁরা আগে Apple Inc-এর সার্চ প্রযুক্তির আধুনিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপর মাইক্রোসফ্টের তহবিল প্রাপ্ত চ্যাটজিপিটি-র মতো চ্যাটবটের অন্তর্নিহিত প্রযুক্তি, লার্জ-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের ডেভেলপমেন্টে ফোকাস করার জন্য গত বছর Google-এ যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
গুগলের CEO সুন্দর পিচাই এই তিনজনকে তাঁর কোম্পানিতে যোগদানের জন্য 'ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন'। এদিকে অ্যাপলের সিইও টিম কুক 'তাঁদেরকে অ্যাপেলেই থাকতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন' বলে এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটাচারির সঙ্গে আলোচনা করা দুই ব্যক্তি এমনটাই জানিয়েছেন।
আনন্দ শুক্লা ২০০১ সালে IIT-কানপুর থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে B.Tech করেছিলেন। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরপর স্নাতকোত্তর করেন। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি Google এ কাজ করেছিলেন। এরপর তিনি শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটাচারি এবং স্টিভেন বেকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লেজারলাইক ইনক নামের এক সংস্থা শুরু করেন। পরে সেই সংস্থাকেই অ্যাপেল অধিগ্রহণ করে নেয়। ২০১৮ সালে তাঁরা অ্যাপলে যোগ দেন। প্রায় ৪ বছর সেখানে কাজ করার পর, গত বছরের নভেম্বরে Google-এ ফিরে আসেন তিনি।
শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটাচারি IIT-মাদ্রাজ থেকে ১৯৯৬ সালে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করেন। এরপর ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। আনন্দ শুক্লার মতোই, ভেঙ্কটাচারীর অ্যাপেল ও গুগলে কাজ করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি গুগলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ দেন।
স্টিভেন বেকারও তাঁদের সঙ্গেই অ্যাপেল ছেড়েছিলেন। এরপর শ্রীনিবাসন এবং আনন্দের সঙ্গে গুগলে ফেরেন। দ্য ইনফরমেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুগলে তাঁরা ফিরে যাওয়ায় অ্যাপল বেশ চাপে পড়ে যায়। আরও পড়ুন: Kolkata traffic police: পথ নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে খড়গপুর আইআইটি