এ যেন ছাত্রের গুরু দক্ষিণা দেওয়ার পালা। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, বম্বের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছেছে ১৬০ কোটি টাকা অনুদান। বিরাট এই অঙ্কের অনুমান এসেছে অজানা কোনও ঠিকানা থকে। আইআইটি’র প্রাক্তনীর কাছ থেকে এসেছে এই অনুদান। তবে ওই ব্যক্তি তার অনুদান ম্পর্কে সর্ব্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান।
আইআইটি-বোম্বের ডিরেক্টর শুভাশিস চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি প্রথমবারের জন্য আমরা কোনও অজানা উৎস থেকে অনুদান পেয়েছি। সত্যি বলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে এমন ঘটনা অতিসাধারণ হলেও ভারতের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উপহারের চল খুবই নেই বললেই চলে। অর্থ অনুদানকারীরা জানেন তারা আইআইটি-বম্বেকে যে অর্থ দেবে, তা সঠিক উদ্দেশেই ব্যবহার করা হবে।’
এই অনুদানটি এমন সময়ে বম্বে আইআইটি’র কাছে এসে পৌঁছেছে, যখন প্রতিষ্ঠানটি বাজেট খাটতির সম্মুখীন হয়েছে এবং সম্প্রসারণের জন্য উচ্চশিক্ষা আর্থিক সংস্থা হেফা’র (HEFA) থেকে ঋণ নিচ্ছে। অনুদানের অর্থ ক্যাম্পাসের একটি গ্রিন এনার্জি অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি রিসার্চ হাব (GESR) স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হবে। এর কিছু অংশ নতুন নির্মাণে ব্যবহার করা হবে এবং গবেষণার জন্য বরাদ্দ থাকবে সিংহভাগ অর্থ। জিইএসআর হাবটি (GESR) ব্যাটারি প্রযুক্তি, সোলার ফটোভোলটাইকস, জৈব জ্বালানি, বন্যার পূর্বাভাস এবং কার্বন ক্যাপচারসহ জটিল ক্ষেত্রগুলিতে গবেষণার অগ্রগতি ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বম্বে আইআইটি’র ক্যাম্পাসে গ্রিন হাব শিল্প-উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্পোরেশনগুলির সাথে সহযোগিতার চর্চা চালিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদদের আশা। উদ্দেশ্য সবুজ শক্তি এবং সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটানো এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা, বলেন অধ্যাপক চৌধুরী। জলবায়ু ক্ষেত্রের ঝুঁকি মূল্যায়ন, কার্যকর প্রশমন কৌশলের বিকাশ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, এবং ব্যাপক পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ বম্বে আইআইটি’র গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ কতগুলি দিক। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ গবেষণার কাজে কতটা উন্নতি ঘটাতে পারে, তার উত্তর দেবে সময়।