কেন্দ্রের নির্দেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি)। এই প্রথম উচ্চপদস্থ পদে (অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর পদ) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হল।
অতীতে হিউম্যানিটিজ এবং ম্যানেজমেন্ট ছাড়া অন্য কোনও কোর্সের উচ্চপদস্থ পদে (অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর পদ) নিয়োগের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) কোনও সংরক্ষণ ছিল না। জুনিয়র পোস্টের (এন্ট্রি-লেভেল পোস্ট) ক্ষেত্রে সংরক্ষিত পদে কোনও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ না করা গেলে এক বছর পর সেই সংরক্ষিত পদগুলিকে জেনারেল ক্যাটেগরিতে রূপান্তর করতে পারার ক্ষমতা ছিল আইআইটির হাতে। যে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন ছিল।
২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে সংসদে যে তথ্য পেশ করা হয়েছিল, তাতে আইআইটিতে যে ৬,০৪৩ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৪৯ জন ছিলেন তফসিলি জাতিভুক্ত। ২১ ছিলেন ছিলেন তফসিলি উপজাতিভুক্ত প্রার্থী। কেন্দ্রের থেকে টাকা পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কম সংখ্যক সংরক্ষিত শিক্ষক থাকার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছিল সংসদীয় কমিটি। তার ভিত্তিতে গত বছর নভেম্বরে উচ্চপদস্থ পদে (অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর পদ) নিয়োগের ক্ষেত্রেও আইআইটিকে সংরক্ষণ চালুর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। সেইসঙ্গে জুনিয়র পোস্টের (এন্ট্রি-লেভেল পোস্ট) ক্ষেত্রে সংরক্ষিত পদে এক বছর পর সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার যে নিয়ম ছিল, তা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রের আইন অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ২৭ শতাংশ, তফসিলি প্রার্থীদের ১৫ শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য ৭.৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।