তেজস কৃষ্ণ প্রসাদ। টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। বেঙ্গালুরুর এই সুটারের জীবনের মোড়টা ঘুরিয়ে দিয়েছিল কোভিড। বলা ভালো তার ক্রীড়া জীবনের কেরিয়ারটাই নষ্ট করে দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হলেন তিনি। একদিকে হারালেন খেলার কেরিয়ার। কিন্তু অন্যদিকে পেলেন অনেক কিছু।
তিনি ইউপিএসসিতে ২৪৩ নম্বর স্থানে রয়েছেন। সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খেলোয়াড় হিসাবে আমি আমার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকেছি। দ্বিতীয়বার সিভিল সার্ভিস দিয়েছিলাম। সেখানে সাফল্য পেয়েছি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, আমাকে সুটিং কেরিয়ার সম্পর্কে বলা হয়েছিল। কীভাবে ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নতি করা যায় সেটা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। আমার অন্যতম হবি হব ক্রীড়াবিদদের অটো বায়োগ্র্যাফি পড়া। চেয়ারপার্সন আমায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন ওপেন আন্দ্রে আগাসি অটোবায়োগ্রাফি আমি পড়েছি কি না।
আমাকে বলা হয়েছিল আমি যদি আগাসি হই তবে কী করব, আমার সঙ্গে আগাসির ট্রেনে দেখা হলে কী করব…
তিনি বলেন, ২৫ মিনিট ধরে এই ইন্টারভিউ হয়েছিল। প্যানেলের প্রধান ছিলেন শীল বর্ধন সিং। অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইউপিএসসির ইন্টারভিউ কি 12th Fail-এর মতো হয়? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, একেবারেই সেরকম হয় না। আমি ওই ইন্টারভিউতে একেবারেই নার্ভাস হয়ে যাইনি। আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর আমি বলতে শুরু করি। তবে যেটা পারিনি সেটা সরাসরি বলে দিয়েছিলাম ওটা আমি জানি না। তখন পরেরটা বলা হয়েছিল।
কিন্তু খেলা ছেড়ে UPSC -এর জন্য প্রস্তুতি নিলেন কেন?
কোভিডের সময় কোনও প্রতিযোগিতা হত না। তখন ভাবলাম ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। আর আমি দুবারের চেষ্টায় এটাতে সফল হয়েছি। টোকিওর জন্য ভারতের টিম তৈরি হল আমি সরে এলাম সুটিং থেকে। পুরোপুরি প্রস্তুতি নিলাম ইউপিএসসির জন্য। অনলাইন কোচিংয়ের সহায়তা নিতাম। বিনয় কুমার ছিল আমার মেন্টর। তিনি আমাকে প্রচুর সহায়তা করেছেন।
তাঁর বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তবে করোনা তাঁর জীবন থেকে খেলা কেড়ে নিয়েছিল। তবে তার জায়গায় তিনি থেমে থাকেননি। তিনি ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। আর তাতেই হাতেনাতে ফল পেয়েছেন তিনি। তাঁর এই সাফল্য কার্যত অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার।