আজ, মঙ্গলবার তীব্র গরমের মধ্যেই ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর এলাকায় ভোট প্রচারে এলেন দীপক অধিকারী। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু কাঞ্চন মল্লিক। মঙ্গলবার বিকেলে তেঘরী অঞ্চলের মোহনপুর, আমলাবনী, আনন্দপুর হয়ে কেশপুরে গিয়ে প্রচার শেষ করা হয়। আর এখান থেকেই বিজেপির প্রার্থী হিরণকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন দেব। শুধু তাই নয়, যে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিয়েই প্রচারে ঝড় তুললেন দেব। এই বিশাল সমাবেশ দেখে আনন্দিত বিধায়ক কাঞ্চনও।
এদিন প্রচার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। কাঞ্চন মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে আসায় নানা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছিল দেবকে। তবে এই বিষয়ে দেব বলেন, ‘প্রথমবার কেশপুরে কাঞ্চন দা আমার সঙ্গে আসল। এখানে আসার সময় কাঞ্চন দাও বলছিল, কেশপুরে রাস্তাঘাট কত উন্নত হয়ে গিয়েছে।’ অর্থাৎ দেব এবং রাজ্য সরকার যে উন্নয়নের সঙ্গে আছেন সেটা বুঝিয়ে দিলেন। এখন সবচেয়ে বড় কাজ হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। কিছুদিন আগেই তা করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবকে পাশে নিয়ে এই কথা ঘোষণা করা হয়। যা বারবার বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে করা যায়নি।
আরও পড়ুন: আইসিডিএস সুপারভাইজার পদে নিয়োগে কাটল জট, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হবে বিপুল চাকরি
এবার উন্নয়নের কাজের নিরিখে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দেব। হিরণ আগে আক্রমণ করেছিলেন। এবার যেন সেটার জবাবই দিলেন দেব। আর তাতে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। হিরণের অভিযোগের ভিত্তিতে দেব বলেন, ‘এটা বিধানসভা নির্বাচন নয়। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট। উনি কেন্দ্রের এমন ১০টা বা পাঁচটা প্রকল্পের নাম বলুন যেটায় কেশপুরের মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। ঘাটালের আসল কাজ ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। যা রূপায়ণের রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখানে কৌন বানেগা মুখ্যমন্ত্রী নয়, কৌন বানেগা প্রধানমন্ত্রীর ভোট হচ্ছে।’
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দেবের ভোটের মার্জিন কি বাড়বে? কারণ যে পরিমাণ উন্নয়ন ঘাটালে হয়েছে এবং মানুষের পাশে দেব ছিলেন সারা বছর তাতে বাড়তেই পারে মার্জিন। তবে লোকসভা নির্বাচনে কেশপুরে ভোট মার্জিন বাড়বে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে দেবের বক্তব্য, ‘মার্জিনের নেশা আমার নেই। একটা ভোটে জিতলেও সেটা জয় বলে আমি মনে করি। কেশপুরে এত মানুষের ভালবাসা আমার সঙ্গে রয়েছে এটাই আমার কাছে অনেক। যদি একবছর আগে থেকে ভোট ঘোষণা হতো, তাহলে হিরণ বলতো দেবের জন্যই মনে হয় ভারত ওয়ার্ল্ড কাপ হেরে গিয়েছে।’ আর কাঞ্চন মল্লিকের কথায়, ‘কেশপুরে মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছি, তাতে আমি আপ্লুত। এত মানুষের ভালবাসা দেবের সঙ্গে আছে তাতে দেব অনেক বেশি ভোটে জিতবে এটাই আমি মনে করি।’