দেশের বিখ্যাত বিজনেস স্কুলগুলি শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে হিমশিম খাচ্ছে। কিছুতেই কাটছে না প্লেসমেন্টের সমস্যা। বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (পিলানি) তাদের অ্যালামনি নেটওয়ার্কের কাছে ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের চাকরি খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগের খবর, ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (আইআইএম) লখনউ তাদের ৭২ জন শিক্ষার্থীর প্লেসমেন্টের জন্য সাহায্য চেয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিষ্ঠানটির তরফে প্রাক্তনীদের বলা হয়েছে, ‘বর্তমান সময়ে কাজ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। বর্তমানে ৭২ জন প্রতিভাবান শিক্ষার্থী প্লেসমেন্ট খুঁজছেন। আইআইএম লখনউ'র ১০০ শতাংশ প্লেসমেন্টের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখতে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বর্তমান সময় দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউশনগুলির জন্যও বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন শিক্ষক ও কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা। মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিড়লা ইস্টিটিউশন অফ টেলনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের অ্যালামনি রিলেশনের ডিন, আর্যা কুমার বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় অনিশ্চিততার মধ্যে নিয়োগে সহায়তার জন্য অ্যালামনাইদের কাছে চিঠি লিখেছেন। ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি কয়েক দশকে এই ধরণের মন্দা প্রত্যক্ষ করেনি। এর ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানুয়ারি ২০২২ থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিড়লা ইস্টিটিউশন অফ টেলনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সে পিলানির প্লেসমেন্ট পরিসংখ্যান ৮৯.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্দা আরও গভীর ভাবে প্রভাব ফেলেছে। প্লেসমেন্ট টিম যথেষ্ট চেষ্টা করেও সকল কর্মপ্রার্থীর প্লেসমেন্ট সুনিশ্চিত করতে পারছে না। অন্যদিকে, এডটেক-এর উদ্যোক্তা রবি হান্ডা সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করে বলেছেন, ‘প্রথমে আইআইএম লখনউ, এখন বিটস পিলানি অ্যালামনিদের প্লেসমেন্টে সহায়তা করতে বলছে। ২০০৮ সালের পর এমন অনুরোধ প্রথম দেখছি।’ অর্থাৎ সার্বিক ভাবে বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকট এদেশের কর্মক্ষেত্রকেও প্রভাবিত করছে। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলিতে ব্যাপক ছাঁটাই চলেছে। কোন পথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, নাকি কর্ম সংস্থানের সংকট আরও গভীর হয়, সেদিকেই তাকিয়ে দেশ-দুনিয়ার চাকরি প্রার্থী যুবক-যুবতীরা।