অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ ওডিআই ম্যাচে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে চলছে এই ম্য়াচ। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর গত ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছেন প্রোটিয়া। ফলে সিরিজে টিকে থাকতে হলে সেঞ্চুরিয়নে চতুর্থ ওডিআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিতে অজিরাও এই ম্যাচ জিতে নিতে পারলে সিরিজ জিতে যাবে। এই পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরিয়নে খেলতে নামে দুই দল। আর এই ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান করে দলকে রানের পাহাড়ে এগিয়ে নিয়ে গেলেন এনরিখ ক্লাসেন। মাত্র ৫৭ বলে করলেন শতরান। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। কুইন্টন ডি কক এবং রেজা এই দুই ওপেনার দলকে বেশ কিছুটা এগিয়ে দেন। তবে এই ম্যাচে তখনও অনেত নাটক বাকি ছিল। ব্যাট করতে নামা ব়্যাসি ভ্যান ডার দাসেনও ৬৫ বলে ৬২ পরানের ইনিংস খেলে যান ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি সংগ্রহ করে। স্বাভাবিক ভাবেই রানের গতি বজায় ছিল এদিন। সবচেয়ে বড় বিষয় হল ক্লাসেনের ইনিংস। যা তখনও বাকি ছিল।
ক্লাসেন নামতেই রানের গতি আরও বাড়তে থাকে। অজি বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করতে থাকেন তিনি। তাঁকে যোগ্য় সঙ্গ দেন ডেভিড মিলারও। তিনিও বড় রান করেন। তবে এদিন ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন ক্লাসেন। তিনি যখন ৫২ বলে ৭৯ রানের মাথায় ব্যাট করছেন, ঠিক তারপরই এমন একটি ইনিংস খেলেন যা বিশ্ব ক্রিকেটে সব সময় মনে থাকবে। ঠিক তার পরের বলেই ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তার পরের বলে মাত্র ২ রান নিলেও পরপর দুটি ছক্কা মারেন এবং একটি সিঙ্গেল রান নিয়ে ৫৭ বলে শতরান করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ইনিংস মনে থাকবে সবার।
ক্লাসেন ছাড়াও এদিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যান ডেভিড মিলার। মাত্র ৪৫ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার তাঁর এই ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৬ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা অজিদের কাছে বেশ কঠিন হতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।