ফাইনালের আগে পর্যন্ত গ্রুপ লিগ ও নক-আউট মিলিয়ে চলতি রঞ্জি ট্রফির ৭টি ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ১৩৪ রান সংগ্রহ করেন অজিঙ্কা রাহানে। একবার মাত্র ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকাতে সক্ষম হন তিনি। এমনকি বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালের প্রথম ইনিংসেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন রাহানে।
রঞ্জি ফাইনালের প্রথম ইনিংসে রাহানে ৩৫ বলে ৭ রানের নড়বড়ে ইনিংস খেলে আউট হন। তবে ওস্তাদের মার যে শেষ রাতে, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ৮৫টি টেস্ট, ৯০টি ওয়ান ডে ও ২০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ তারকা। এবারের রঞ্জি ট্রফিতে নিজের সেরা পারফর্ম্যান্স তিনি তুলে রেখেছিলেন ফাইনালের শেষ ইনিংসের জন্য।
দরকারের সময় ব্যাট হাতে মুম্বইকে নির্ভরতা দিলেন রাহানে। বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকানো অজিঙ্কা দ্বিতীয় দিনের শেষে নট-আউট থাকেন ১০৯ বলে ৫৮ রান করে। মুশির খানকে সঙ্গে নিয়ে রাহানে দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:- IND vs ENG: সাজঘরে গিয়ে রোহিত, গিল ও কুলদীপকে পুরস্কৃত করলেন জয় শাহ, কোন কৃতিত্বের জন্য?
ক্যাপ্টেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকেছেন মুশির খানও। তিনি দ্বিতীয় দিনের শেষে অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ১৩৫ বলের ইনিংসে মুশির ৩টি চার মারেন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৯ রানের লিড নেওয়া মুম্বই দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেটে ১৪১ রান। সুতরাং, এখনই তারা এগিয়ে রয়েছে ২৬০ রানে।
পৃথ্বী শ ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ১১ রান করে আউট হন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৮ বলে ১৮ রান করেন ভূপেন লালওয়ানি। বিদর্ভের যশ ঠাকুর ও হর্ষ দুবে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও উইকেট পাননি উমেশ যাদব।
উল্লেখ্য, ওয়াংখেড়ের রঞ্জি ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২২৪ রানে। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দুল ঠাকুর দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৫ রান করেন। প্রথম ইনিংসে পৃথ্বী শ করেন ৪৬ রান। পালটা ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১০৫ রানে। যশ রাঠোর দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৭ রান করেন।