আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের আগে প্রতিপক্ষ দেশগুলিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল নেপাল। তাঁরা যে বিশ্বকাপে আঘটন ঘটাতে প্রস্তুত, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন রোহিত পাউডেলরা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ২০০-র বেশি রান তাড়া করতে নেমে দাপুটে জয় তুলে নেয় নেপাল। পরের তিনটি ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াতে হলেও পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে ফের ক্যারিবিয়ান দলকে পরাজিত করল তারা।
কীর্তিপুরের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি গ্রাউন্ডে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪২ রান করেন আলিক আথানাজে। ২৯ বলের অপরাজিত ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
২৩ বলে ৩৩ রান করেন ক্যাপ্টেন রোস্টন চেস। তিনি ৫টি চার মেরেছেন। ২০ বলে ২৪ রান করেছেন জনসন চার্লস। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ২৩ রান করেন ম্যাথিউ ফোর্ড। এছাড়া কাদিম অ্যালেইন ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১৯ বলে ১১ রানের ধীর ইনিংস খেলেন মার্ক দেয়াল। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ৩ ও গুড়াকেশ মোতি ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৭ রানে নট-আউট থাকেন হেডেন ওয়ালস।
নেপালের হয়ে ৪ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন সোমপাল কামি। ২ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাগর ধাকাল। ৪ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন অবিনাশ বোহারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেপাল ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে নেপাল এবং সেই সুবাদে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ব্যবধানে কমিয়ে ৩-২ করে তারা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেলের সাহায্য ছাড়াই নেপাল এই ম্যাচ জিতে নেয়। রোহিত সিরিজে ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। এদিন ব্যাট হাতে মাঠে নামলেও কোনও বল খেলার সুযোগই হয়নি তাঁর।
৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন অনিল শাহ। ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৫১ রান করেন আসিফ শেখ। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মাল্লা।