প্রায় দু'ওভার বাকি থাকতে ৬ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছেন। তা সত্ত্বেও রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের মনে হয়েছে যে, আরও ৫-১০ রান যদি বেশি তুলতে পারতেন, তাহলে হয়তো ম্যাচ জেতা যেত। উপ্পলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে উঠে চেন্নাই দলনায়কের এমন দাবি আজব বলেই মনে হতে পারে। কেননা টুর্নামেন্টের প্রথম ৩ ম্যাচে ১৭টি ছক্কা হাঁকানো এনরিখ ক্লাসেন ছাড়াও হায়দরাবাদের হাতে ছিল আবদুল সামাদ, নীতীশ রেড্ডির মতো ভারতীয় প্রতিভা।
সুতরাং, ২ ওভারে আরও ৫-১০ রান তোলা এমন কী কঠিন হতো হায়দরাবাদের, সেটা ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুক্রবার উপ্পলে শুরুতে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ।
ম্যাচের শেষে চেন্নাই দলনায়র স্লো পিচের দোহাই দেন হারের জন্য। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, এই পিচে কত রান তুললে ম্যাচ জেতা সম্ভব হতো। জবাবে রুতুরাজ বলেন, ‘১৭০ থেকে ১৭৫ মতো রান হলে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হতো।’
হারের কারণ জানাতে গিয়ে রুতুরাজ কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করেন। কালো মাটির স্লো পিচ ছাড়াও তিনি পাওয়ার প্লে-তে যথাযথ বল করতে না পারা এবং ব্যাটিংয়ের সময় শেষ ৫ ওভারে ঝড় তুলতে না পারাকেও হারের অন্যতম কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন। যদিও হায়দরাবাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেও ভোলেননি রুতু।
চেন্নাই দলনায়ক বলেন, ‘পিচ নিতান্ত স্লো ছিল। তার উপর শেষের দিকে ওরা ভালো বল করে। ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তবে আমরা শেষ ৫ ওভারে সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা ম্যাচের শুরুর দিকে ভালো খেলেছি। পরে শেষের দিকে ওরা দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে। কালো মাটির পিচ। তাই জানতাম স্লো হবে। বল যত পুরনো হয়েছে, পিচ আরও মন্থর হয়েছে। ওরা পরিস্থিতি যথাযথ ব্যবহার করেছে। বিশেষ করে একদিকের বড় বাউন্ডারি কাজে লাগিয়েছে।’
রুতুরাজ আরও বলেন, ‘আমরা পাওয়ার প্লে-তে ভালো বল করতে পারিনি। একটা ক্যাচ পড়েছে। একটা ওভারে বিস্তর রান খরচ হয়েছে। তবে তার পরেও ম্যাচ ১৮ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া মন্দ নয়।’