শুভব্রত মুখার্জি: পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হবে কি হবে না, সেই বিষয়ে বিস্তর নাটক চলেছে। দীর্ঘ টালবাহানার পরবর্তীতে অবশেষে আয়োজন করা হচ্ছে এশিয়া কাপের। তবে প্রথম পর্যায়ে গোটা টু্র্নামেন্টের আয়োজনের দায়িত্ব পাকিস্তানের থাকলেও, বাস্তবে তা হয়নি। হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। পাকিস্তানে কয়েকটি ম্যাচ এবং শ্রীলঙ্কায় আয়োজিত হচ্ছে কয়েকটি ম্যাচ। কেন গোটা টু্র্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজন না করে হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হচ্ছে টু্র্নামেন্ট, এবার তার উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাখ্যাও দিলেন এসিসির সভাপতি জয় শাহ।
বিষয়টি নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জয় শাহ জানিয়েছেন, ‘সমস্ত পূর্ণ সদস্যের দেশ, সমস্ত মিডিয়া রাইটস হোল্ডার এবং ইন স্টেডিয়া রাইটস হোল্ডাররা প্রথম ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও দ্বিধাগ্রস্ত ছিল পাকিস্তানে গোটা টু্র্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে। এই দ্বিধার পিছনে মূল কারণ ছিল নিরাপত্তা এবং পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। যা এই মুহূর্তে তাদের কাছে চিন্তার বিষয় ছিল। এসিসির সভাপতি হওয়ার দরুন আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল, একটি সঠিক এবং উভয়পক্ষের সম্মতিসূচক একটা সমাধান খুঁজে বের করা। আর এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ পিসিবির তরফে যখন এসিসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন আমি তা মেনে নিই। তবে এর মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সবার মনে রাখতে হবে। আর তা হল, পিসিবির টপ ম্যানেজমেন্টে এই সময়কালে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের স্কোয়াডের সঙ্গে কেন কোনও রিজার্ভ প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করেনি টিম ইন্ডিয়া?
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিসিবির ম্যানেজমেন্টের এই বদলের ফলে আমাদেরকে পুনরায় দর কষাকষির টেবিলে বসতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যেমন কর ছাড়, ম্যাচের বিমা এই সব নিয়ে ফের প্রথম থেকে আমাদেরকে আলোচনা করতে হয়। ২০২২ সালের এশিয়া কাপ আমিরশাহিতে খেলা হয়েছিল টি-২০ ফর্ম্যাটে। টি-২০ একটা প্রতিযোগিতার ডায়নামিক্সের সঙ্গে ১০০ ওভারের একটা টুর্নামেন্টের ডায়নামিক্স কখনও এক হতে পারে না। এমন আবহে এসিসির সদস্য দেশরা তাদের নিজ নিজ দেশের হাই পারফরম্যান্স কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। সেপ্টেম্বর মাসে আমিরশাহির গরমে ম্যাচ খেলার বিষয়ে এর পরে অনেকেই তাদের আশঙ্কার কথা জানায়। কারণ অত্যধিক গরমে ক্রিকেটারদের ক্লান্তি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চোটের সম্ভাবনা বাড়ার একটা আশঙ্কার কথা সবাই জানায়। সামনেই বিশ্বকাপ রয়েছে। ফলে এই ঝুঁকি কোনও দেশ নিতে চায়নি। এশিয়া কাপ ২০২৩ সালে কোন ফর্ম্যাটে খেলা হবে, এর ভেন্যু কোথায় হবে, সবকিছুই ঠিক করা হয়েছে ক্রিকেটারদের স্বার্থের দিকটি সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার পরেই। মূল লক্ষ্য ছিল একটা ভারসাম্য বজায় রাখা। যাতে করে টু্র্নামেন্ট প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার পাশাপাশি সাফল্যও পাবে। পাশাপাশি ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের আগে যাতে অংশগ্রহণকারী সব দেশের ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের দিকটি সুরক্ষিত থাকে তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’