মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা ক্যান্ডিতে একটি সংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন। প্রত্যাশিতই দল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জনের দলে আলাদা কোনও চমক নেই। এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল থেকে দু’জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জায়গা হয়নি রিজার্ভ সদস্য হিসাবে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া সঞ্জু স্যামসনেরও।
প্রত্যাশিত ভাবেই কেএল রাহুলকে দলে রাখা হয়েছে। ইশান কিষাণকে ব্যাকআপ ওপেনার এবং কিপার হিসাবে নেওয়া হয়েছে এবং সূর্যকুমার যাদব ব্যাকআপ মিডল-অর্ডার ব্যাটারের জন্য দলে রয়েছেন।
যতদূর সিম-বোলিং বোলার হিসেবে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুর। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল এবং স্পিনার কুলদীপ যাদবও রয়েছেন দলে। যুজবেন্দ্র চাহাল, প্রসিধ কৃষ্ণ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তিলক বর্মা এবং সঞ্জ স্যামসন উল্লেখযোগ্য বাদ পড়েছেন। অশ্বিন এবং চাহাল এশিয়া কাপেরও অংশ ছিলেন না। স্যামসন রিজার্ভ প্লেয়ার ছিলেন। তবে প্রসিধ কৃষ্ণ এবং তিলক এশিয়া কাপের ১৭জনের দলে থাকলেও, বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাগ্য ভালো যে ODI World Cup দলে সুযোগ পেয়েছে- সূর্যকে সরাসরি খোঁচা প্রাক্তন অজি তারকার
তবে চমক যেটা, সেটা হল, ভারত বিশ্বকাপের জন্য কোনও স্ট্যান্ডবাই বা রিজার্ভ প্লেয়ারের নাম জানায়নি। যেটা এই ধরনের বড় টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত রিজার্ভ প্লেয়ারদের নামও দল ঘোষণার সময়ে জানানো হয়ে থাকে। যেটা ভারত এবার করেনি।
যেহেতু আইসিসি ১৫ জনের বেশি খেলোয়াড়কে মূল দলে রাখার অনুমতি দেয় না, তাই বেশিরভাগ দল কমপক্ষে তিন জন রিজার্ভ প্লেয়ারকে রেখেছে দলের সঙ্গে। প্রধান স্কোয়াড থেকে কেউ আহত হলে বদলি হিসেবে, সেখান থেকে বেছে নেওয়া হবে বলে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভারত তাদের শুধু তিন-চারটি নামেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায়নি। বিশ্বকাপ যেহেতু ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে, তাই তাদের একজন খেলোয়াড়কে বদলে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অফস্পিনার হলে ভালো হত কিন্তু…’ ভারসাম্য়ের দোহাই দিয়ে অশ্বিন গুগলি খেললেন আগরকার
এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি মূল স্কোয়াডের কেউ আহত হয়, তবে রিজার্ভ সম্ভবত তাদের থেকে হতে পারে, যারা বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় রয়েছে, কিন্তু বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাননি। অর্থাৎ স্যামসন, তিলক ও কৃষ্ণের মধ্যে থেকেই কেউ সুযোগ পেতে পারেন। আগরকারের দাবি, ‘এখানে ১৭জন রয়েছে। কেএল ১৮তম। সুতরাং, আপনি যদি সেই কভার চান, তিন জন ইতিমধ্যে রয়েছে। সেটা একজন রক্ষক, অতিরিক্ত সিমার বা ব্যাটারের জন্যই হোক না কেন। তিলকও আমাদের সঙ্গে আছে। এটি আমাদের সেরা ১৫ বাছাই করা হয়েছে। চোট না হলে এই দলে পরিবর্তন করা হবে না।’
প্রসঙ্গত, আইসিসি-তেও এমন কোনও নিয়ম নেই যে, দলগুলিকে রিজার্ভ প্লেয়ারের নাম আগে থেকে জানাতে হবে। আসলে দলগুলি গত কয়েক বছরে চোট-আঘাতের সমস্যার কারণে আগে থেকেই প্লেয়ার তৈরি রাখে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত তাদের অফিসিয়াল স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ার হিসেবে ঋষভ পন্ত, অম্বাতি রায়ডু এবং নভদীপ সাইনিকে মনোনীত করেছিল।