ভারতীয় দলের এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, যা শনিবার সন্ধ্যে থেকে শুরু হয়েছিল, সেটা হল ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পুরো টুর্নামেন্টে প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হিসেবে ইশান কিষাণ এবং কেএল রাহুলের মধ্যে কাকে বেছে নেওয়া হবে? দীর্ঘ চোট সারিয়ে রাহুলকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে গত মাসে ভারত যখন তাদের এশিয়া কাপের দল বেছে নিয়েছিল, তখন সমীকরণটি সহজ ছিল। তিনি পাঁচ নম্বরে আবার খেলতে শুরু করতে পারতেন।
কিন্তু শনিবার ইশান সব হিসেব ওলটপাল্ট করে দিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচে ব্যাট করে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। একই নম্বরে ব্যাট করে ইশান দুরন্ত ছন্দে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন। পাক পেসারদের দাপটে ভারতের টপ-অর্ডার যখন গুঁড়িয়ে গিয়েছে, তখন ইশান পাঁচে নেমে ৮২ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের স্কোয়াডের সঙ্গে কেন কোনও রিজার্ভ প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করেনি টিম ইন্ডিয়া?
গৌতম গম্ভীর এবং মহম্মদ কাইফের মতো প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা সেই রাতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারত রাহুল নাকি ইশান কাকে পাঁচে খেলাবেন? রাহুল একটি নিগলের কারণে এশিয়া কাপের প্রথম দু'টি ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে সুপার ফোর রাউন্ডে তিনি দলে ফিরবেন। একদিন পরে, রবি শাস্ত্রী এবং ম্যাথু হেডেনও এই নিয়ে টর্চা শুরু করেছিলেন।
মঙ্গলবার ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড ঘোষণার কিছুক্ষণ পরে, কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর ইন্ডিয়া টুডে-র সঙ্গে কথা বলার সময়ে শ্রেয়স আইয়ারকে আলোচনায় টেনে এনেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, ফর্মে থাকা ইশান, ফরম্যাটে টানা চারটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, লড়াইটি তাই শ্রেয়স আইয়ার এবং রাহুলের মধ্যে হওয়া উচিত। তাও চার নম্বর স্পটের জন্য।
আরও পড়ুন: ভাগ্য ভালো যে ODI World Cup দলে সুযোগ পেয়েছে- সূর্যকে সরাসরি খোঁচা প্রাক্তন অজি তারকার
গাভাসকরের দাবি, ‘এটি চার নম্বর স্থানের জন্য শ্রেয়স আইয়ার এবং কেএল রাহুলের মধ্যে লড়াই হতে পারে। ইশান কিষাণ যে ফর্মে আছেন, ব্যাটার হিসেবে তিনি দলে থাকতে পারেন। রাহুল উইকেট কিপিং করতে পারেন। কিন্তু যদি রাহুল এবং ইশান দু'জনেই খেলে, তা হলে ইশান উইকেটকিপিং করলে ভালো হবে। কারণ রাহুলের চোটের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’
বিশ্বকাপের এখনও এক মাস বাকি, রাহুল বনাম ইশান বিতর্ক সুপার ফোরের ম্যাচের সময় মীমাংসা হতে পারে, যা ৯ সেপ্টেম্বর থেকে কলম্বোতে শুরু হবে এবং ভারত আবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। এই মাসের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিরিজ রয়েছে। দেখার, ভারত কী ভাবে ব্যাটিং অর্ডারের সমস্যা মেটায়!