পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসভাগ্য সঙ্গ দেয় বাংলাদেশকে। টস জিতে ক্যাপ্টেন শাকিব শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর সিদ্ধান্তকে যথাযথ প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের ৭.৪ ওভারে ধনঞ্জয়া ডি'সিলভার বলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মহম্মদ নইম। বাংলাদেশ দলগত ২৫ রানের মাথায় দুই ওপেনারের উইকেট হারানোর পরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন শাকিব। প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেবেন ক্যাপ্টেন, এমনটাই আশা করেছিলেন সবাই। তবে বাংলাদেশের সমর্থকদের চূড়ান্ত হতাশ করেন শাকিব।
ইনিংসের ১১তম ওভারে শ্রীলঙ্কা দলনায়ক দাসুন শানাকা বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসেন মাথিসা পথিরানাকে। নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন পথিরানা। ১০.৪ ওভারে পথিরানার অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের দস্তানায় ধরা দেন বাংলাদেশ দলনায়ক।
এমনটা নয় যে, পথিরানার বিষাক্ত ডেলিভারির শিকার হন শাকিব। বরং অনায়াসে কাট করা যায় এমন উচ্চতার বলে অনেক দেরিতে ব্যাট চালান তিনি। ফলে বল শাকিবের গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটকিপার মেন্ডিসের দস্তানায়। নিজের বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন মেন্ডিস।
শাকিবের এই ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে যে রকম ক্ষিপ্রতা দেখান মেন্ডিস, তা প্রশংসার যোগ্য। রিঅ্যাকশন টাইম ছিল ১ সেকেন্ডেরও কম। ০.৬৮ সেকেন্ড সময়েই শরীর ছুঁড়ে বাঁ-হাতে কার্যত মাটি থেকে ছোঁ-মেরে বল তুলে নেন মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপারের এমন অনবদ্য ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় শাকিবকে। ১১ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার মারেন। বাংলাদেশ দলগত ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায়।
এশিয়া কাপ সংক্রান্ত যাবতীয় খবর, তথ্য-পরিসংখ্যান ও লাইভ স্কোর আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
শেষমেশ বাংলাদেশ ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। একপ্রান্ত আঁকড়ে একা লড়াই চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২২ বলে ৮৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
দরকারের সময় শাকিব খারাপ শট খেলে আউট হওয়ায় বেজায় চটেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো শাকিবের সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বেশিরভাগেরই ধারণা, শাকিবের ক্রিজে টিকে থেকে ইনিংস গড়ার কাজে নজর দেওয়া উচিত ছিল।
শাকিবদের এমন খারাপ ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের পরে কেউ কেউ এমনটাও বলতে শুরু করেন যে, বাংলাদেশ দলের কখনও উন্নতি হবে না। নেপালের মতো দলের উপর বিনিয়োগ করলে তারা ভবিষ্যতে ভালো দলে পরিণত হতে পারে, তবে বাংলাদেশ সেই একই জায়গায় থাকবে।