টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস লিখে ফেলল শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। প্রথম বার আন্তর্জাতিক মহিলা টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা নতুন নজির গড়ল। শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বড় জয় পেলেন লঙ্কার মেয়েরা। তাঁরা ৪০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেন। সেই সঙ্গে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল লঙ্কা ব্রিগেড। এদিনের আগে ইংল্যান্ডের মেয়েদের বিরুদ্ধে কখনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কার মহিলা টিম।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবে শুরু থেকেই তারা নড়বড় করছিল। ৫০ রান হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। ৬৬ রানে হারায় ৮ উইকেট। আটে নেমে চার্লি ডিনের ২৬ বলে ৩৪ রান বাদ দিলে বাকিদের অবস্থা একেবারে তথৈবচ ছিল। ১৫ রানের গণ্ডিও কেউ টপকাতে পারেননি। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছেছেন মাইয়া বাউচার (১০ বলে ১২ রান), অধিনায়ক হিদার নাইট (১৬ বলে ১৪ রান), অ্যামি জোনস (১২ বলে ১২ রান), এবং ইসি ওং (১২ বলে ১৩ রান)। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরে গড়াগড়ি খেয়েছেন।
আরও পড়ুন: পূর্বাভাস সত্যি, ভেসে গেল ম্যাচ, পয়েন্ট ভাগাভাগি, সুপার ফোরে পাকিস্তান
লঙ্কার বোলারদের দাপটে, মূলত স্পিনারদের ভেল্কিতেই একেবারে ল্যাজেগোবরে হাল হয় ইংল্যান্ডের। ১৮ ওভারে ১০৪ রান করেই অলআউট হয়ে যায় ব্রিটিশ ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন উদেশিকা প্রবোধনী, ইনোশী প্রিয়দর্শিনী, ইনোকা রানাবীরা এবং কবিশা দিলহারি। চামারি আতাপাত্তু এবং সুগন্দিকা কুমারী ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার ওপেনার চামারি আতাপাত্তুর হাফসেঞ্চুরির হাত ধরে বড় জয় ছিনিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অনুষ্কা সঞ্জীবনি মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তখন দলের রান ১০। এর পর দ্বিতীয় উইকেটে হর্ষিতা সমরবিক্রমকে নিয়ে হাল ধরেন দলের অধিনায়ক চামারি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৬৯ রান যোগ করেন। তবে ৩১ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান চামারি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ২টি ছক্কা। চামারি আউট হলেও ৩৫ বলে অপরাজিত ৩০ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হর্ষিতা। ছক্কা মেরে তিনি দলকে জেতান। তাঁর সঙ্গে বিশমি গুনারত্নে ১৫ বলে অপরাজিত ১৮ করে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন। ১৩.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা হেরেছিল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে তারা ১-১ করে ফেলল। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি তাই ফাইনাল ম্যাচ হয়ে গেল দুই দলের কাছেই।