এই বছর এশিয়া কাপের বেশির ভাগ ম্যাচেই বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছে। রবিবার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, আর ভারত এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল। অক্টোবরে শুরু হতে চলা ২০২৩ সালের আইসিসি পুরুষদের ওডিআই বিশ্বকাপের ঠিক আগে রবিবার দুই দলের মধ্যে একটি হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ হতে চলেছে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টিতে খেলা ব্যাহত হতে পারে। Accuweather অনুসারে, কলম্বোতে ১৭ সেপ্টেম্বর ৯০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ঘণ্টায় ১৫ কিমি বেগে বাতাস বইবে। ৯৯ শতাংশ মেঘের আবরণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাচটি শুরু হবে ভারতীয় সময় বিকাল ৩টের সময়ে। তার আধ ঘণ্টা আগে টস হবে। এবং বিকেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থাকবে। অর্থাৎ খেলার মাঝেই বৃষ্টি হবে। রাত পর্যন্ত আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। রবিবার দুপুর ১টা থেকে কলম্বোয় বৃষ্টি শুরু হবে। তা চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত। সেই সময়ে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস সহ বৃষ্টিপাতের কমপক্ষে ৮০% সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ে ম্যাচ চালানো যাবে না।
আরও পড়ুন: চোট উদ্বেগজনক, Asia Cup-এর আঘাতের জেরে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে নাসিম শাহের
বৃষ্টির কারণে রবিবার খেলা বিঘ্নিত হয় এবং রবিবার কোনও ভাবে দু’দলই অন্তত ২০ ওভার না খেলতে পারে, তা হলে সোমবার রিজার্ভ ডে-তে খেলা গড়াবে। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি রিজার্ভ ডে-তে খেলা হবে। ফাইনাল ম্যাচের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রবিবার যেখানে খেলা শেষ হবে, সেখান থেকেই ফের শুরু হবে। যদি দু’দিনই বৃষ্টিতে খেলা সম্পূর্ণ না করা যায়, তবে দু’দলকে যুগ্ম ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ফাইনালের ফলাফলে আবহাওয়া একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। টস জয়ী দল একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চাইবে কারণ বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে রান তাড়া করা কঠিন হতে পারে। কারণ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, সেরা একাদশ বেছে নিতে টসের আগে কতটা বৃষ্টি হয়, তা দেখতে হবে দলগুলোকে। টসের আগে যদি বৃষ্টি হয় এবং পিচ কভারের নীচে থাকে, তাহলে পিচের প্রকৃতি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইনিংস শেষের আগেই প্যাড পরে ব্যাট নিয়ে তৈরি হয়ে ছিলেন কোহলি, কেন জানেন?- ভিডিয়ো
ক্যান্ডিতে ২ সেপ্টেম্বর ভারত বনাম পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি একমাত্র বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও, সুপার ফোরে সব মিলিয়ে মাত্র ১৬ ওভার খেলা হয়নি. বারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচটি অবশ্য রিজার্ভ ডে-তে গড়িয়েছিল। তবে ফাইনালে বৃষ্টির বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ ২০২৩-এর ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেসে গেলে কী হবে?
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, অফিসিয়াল ওয়ান-ডে-আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য প্রতিটা দলকে কমপক্ষে ২০ ওভার করে বল করতে হবে। যদি ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ২০২৩ এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়, সেখানে একটি রিজার্ভ ডে (১৮ সেপ্টেম্বর) থাকবে। রিজার্ভ ডে-তেও যদি বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে উভয় দলের মধ্যে এশিয়া কাপের ট্রফি ভাগাভাগি হয়ে যাবে।
এর আগেও ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে ট্রফি ভাগাভাগি হয়েছে। ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে। সেবারও টুর্নামেন্টের অনেক ম্যাচই ব্যাহত হয়েছিল বৃষ্টিতে। ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি রিজার্ভ ডে-তেও অনুষ্ঠিত হতে পারেনি ম্যাচটি এবং শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায় খেলা। ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে তখন যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।