পাকিস্তান সুপার লিগের হাই স্কোরিং ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবল মহম্মদ রিজওয়ানদের। লিগ টপার মুলতান সুলতানসের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এল বাবর আজমের পেশোয়াজ জালমি। দল হারায় ব্যর্থ হল ইফতিখার আহমেদ ও ক্রিস জর্ডনের অবিশ্বাস্য লড়াই।
মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলতি পাকিস্তান সুপার লিগের ২১তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পেশোয়ার জালমি ও মুলতান সুলতানস। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পেশোয়ার। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
সইম আয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৮৪ রান সংগ্রহ করেন বাবর আজম। সইম নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ৪৬ রান করে আউট হন। যদিও বাবর ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। চলতি পিএসএলে ১টি শতরান করার পাশাপাশি ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করলেন বাবর।
আরও পড়ুন:- চাহালের ৪ উইকেট, মণীশ পান্ডের শতরান, DY Patil T20 Cup-এ দাপুটে বোলিং বরুণ-ভুবির
এছাড়া হাসিবউল্লাহ খান ২০ বলে ৩১ রানের যোগদান রাখেন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৫ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রোভম্যান পাওয়েল। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন আমের জামাল। মুলতানের উসামা মীর ৩২ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডন।
আরও পড়ুন:- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব থেকে বেশি ছক্কা, 'হাফ-সেঞ্চুরির' দোরগোড়ায় রোহিত, দেখুন সেরা ৫
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুলতান সুলতানস একসময় ১৭ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৫৮ রান দরকার ছিল তাদের। মুলতান যখন কার্যত একতরফাভাবে হারতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছিল, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইফতিখার আহমেদ ও ক্রিস জর্ডন।
আরও পড়ুন:- WTC-র ইতিহাসে সব থেকে বেশি উইকেট, জাদেজাকে টপকে সেরা ১০-এ হেজেলউড
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৩ রান প্রয়োজন ছিল মুলতান সুলতানসের। তবে তারা ১৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। শেষমেশ ৪ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় মুলতানকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে মুলতান সুলতানস ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান সংগ্রহ করে।
ইফতিখার ২৭ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ১২ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন ক্রিস জর্ডন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন রিজওয়ান ২৪ বলে ৩২ রান করে রান-আউট হন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পেশোয়ারের আমের জামাল ৩৬ রানে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন বাবর আজম।