আইনসিদ্ধ হলেও মানকাডিং নিয়ে বিতর্ক চিরকালের। বোলার যদি আইসিসির নিয়ম মেনে ডেলিভারির আগেই ক্রিজ ছাড়া নন-স্ট্রাইকার ব্যাটারকে রান-আউট করেন, তবে তাতে আঙুল তুলতে আম্পায়ারের কোনও বাধা নেই। যদিও এভাবে করা রান-আউটে ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিস্তর। শনিবার মীরপুরে দেখা গেল ঠিক এমনই ছবি। যদিও মানকাডিং নিয়ে এমন মধুরেণ সমাপয়েৎ দেখা যায় কদাচিৎই।
শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। যদিও শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকা তারা। টম ব্লান্ডেল, হেনরি নিকোলস ও শেষ বেলায় ইশ সোধি ছাড়া ব্যাট হাতে তেমন একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি আর কোনও কিউয়ি ব্যাটার।
প্রথম ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে ঘটে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যাওয়া এক ঘটনা। ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বল করতে যাওয়ার সময় বোলার হাসান মাহমুদ নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের বেল ফেলে দেন। ইশ সোধি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ফিল্ড আম্পায়াররা বল ঠেলে দেন তৃতীয় আম্পায়ারের কোর্টে। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সোধিকে রান-আউট ঘোষণা করেন।
সোধি হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়ছিলেন। তিনি করতালি দিয়ে কার্যত বোলারকে কটাক্ষও করেন। তবে বাংলাদেশ দলনায়ক লিটন দাস ফিল্ড আম্পায়ারের কাছে গিয়ে আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আম্পায়ার পুনরায় মাঠে ডেকে নেন সোধিকে। বোলার হাসান সোধির দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন, যদিও তিনি কোনও ভুল কাজ করেননি। সোধি হাসানকে জড়িয়ে ধরেন তৎক্ষণাৎ।
নিউজিল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৮ রান করে আউট হন টম ব্লান্ডেল। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন হেনরি নিকোলস। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬১ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ইশ সোধি ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৪৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান। ৬০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পকেটে পোরেন খালেদ আহমেদ। ৫৩ রানে ২টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।