হাত দিয়ে বল আটকে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের তারকা মুশফিকুর রহিম। বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে সেই ঘটনা ঘটেছে। ব্যাটিংয়ের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল আটকানোয় তাঁকে আউট দেওয়া হয় (‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-র কারণে)। আর সেই ঘটনার ফলে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে সেভাবে আউট হলেন মুশফিকুর। যে আউটের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেভাবে বাংলাদেশের তারকা হাত দিয়ে বলটা আটকে দেন, তা নিয়ে হাসাহাসি শুরু করেছেন নেটিজেনরা। আবার ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন যে এত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হয়েও কীভাবে এরকম শিশুসুলভ ভুল করলেন বাংলাদেশের তারকা?
আর সেই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র মুশফিকুরই দিতে পারবেন। কারণ তিনি যে বলটা আটকে দিয়ে আউট হয়েছেন, সেটা তাঁর স্টাম্পের ধারেকাছেও ছিল না। অফস্টাম্প থেকে খানিকটা দূরেই ছিল বল। সম্ভবত আতঙ্কে পড়ে ‘ব্রেনফেড’ হয়ে গিয়েছিল মুশফিকুরের। আর সেই কারণে তাঁকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হল। যে উইকেটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মুশফিক আউট হওয়ার পরে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১০৪ রান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে সেইসময় মুশফিকুের থেকে একটা বড় ইনিংসের আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা হয়নি।
কীভাবে আউট হয়েছেন মুশফিকুর? ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের ৪১ তম ওভারের চতুর্থ বলে সেই ঘটনা ঘটেছে। কিছুটা শর্ট লেংথে অফস্টাম্পের বাইরে বল করেন কিউয়ি পেসার কাইল জেমিসন। কিছুটা পিছনে সরে গিয়ে ডিফেন্স করেন বাংলাদেশের তারকা। বলটা অফস্টাম্পের বাইরের দিকে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু আতঙ্কে পড়ে বলটা হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেন। সরাসরি ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-র আবেদন করতে থাকেন জেমিসন ও কিউয়ি ফিল্ডাররা।
আরও পড়ুন: WTC Points Table: ভারতকে টপকে WTC-তে দুইয়ে উঠল বাংলাদেশ! থাকল ঠিক পাকিস্তানের নীচে- পয়েন্ট তালিকা
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার। তারপর তাঁরা তৃতীয় আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। আর একবার রিপ্লে দেখেই আউট দিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। সেইসময় তিনি বলেন, ‘ও ইচ্ছাকৃতভাবে বলটা আটকেছে। তাই আমার সিদ্ধান্ত হল (আউট)।’ সেই সিদ্ধান্তের জেরে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় মুশফিককে। আইসিসির অফিসিয়াল স্কোরকার্ডে দেখানো হয় যে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-র কারণে বাংলাদেশের তারকাকে আউট দেওয়া হয়েছে। যিনি কিছুক্ষণ আগেই ঠিক একই কাজ করতে গিয়েছিলেন।
তারপর আরও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আপাতত ৫৭.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর আট উইকেটে ১৪৫ রান। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন মুশফিকুরই। ৮৩ বলে ৩৫ রান করেন। ১০২ রানে ৩১ রান করেন শাহাদাত হোসেন। মেহদি হাসান মিরাজ করেন ২০ রান। কিউয়িদের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আজাজ প্যাটেল এবং গ্লেন ফিলিপস।
আরও পড়ুন: Bizarre News: মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় বাবার সঙ্গেই! খোদ বাঙালিদের মধ্যেই আছে এমন আজব রীতি