ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ মহিলা দল। এই প্রথমবার ঘরের মাটিতে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের মহিলা দলকে হারানোর নজির গড়ল বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবারের আগে পর্যন্ত ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ১০টি ম্যাচ খেলেছিল। কোনও ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায়নি। বুধবার সেই অধরা জয় এল। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিন বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট জিতে গিয়েছে নাহিদা আখতার, নিগার সুলতানারা। যে নাহিদা আবার সেই ম্যাচে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন। মাত্র আট রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়েন তিনি।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার। আর সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল, সেই প্রমাণ দেন নাহিদা। চতুর্থ ওভারেই ছন্দে থাকা সিদ্রা আমিনকে বোল্ড করেন। মুনেবা আলিকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান নাহিদা। তারপর পাকিস্তানের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক নিদা দার এবং বিসমাহ মারুফ। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের জুটিতে ৩১ রান যুক্ত হয়। তাঁদের জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান।
তারপর আর পাকিস্তান দাঁড়াতে পারেনি। ১৯.৪ ওভারে ৮২ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৩.৪ ওভারে আট রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন নাহিদা। একটি করে উইকেট পান রাবেয়া, শ্রোনা আখতার এবং সুলতান খাতুন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন বিসমাহ (২০ রান)। মুনিবা করেন ১৬ রান। নিদা ১৪ রান করেন। আর ১৫ রান করেন নাতালিয়া পারভেজ।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান শামিমা সুলতানা। রানের গতি একেবারে কম হলেও পরপর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। বড় কোনও জুটিও গড়ে ওঠেনি। তবে পাকিস্তানের রানটা এতটাই কম ছিল না যে সেইসব খামতিগুলি ছাপিয়েই জিতে যায় বাংলাদেশ। ১৯.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন সুলতানারা। জিতে যান পাঁচ উইকেটে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৬ রান করেন অধিনায়ক সুলতানা। ২৩ রান করেন মুর্শিদা খাতুন।
নাহিদার রেকর্ড
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন নাহিদা। যিনি নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙলেন। গত বছর কেনিয়ার বিরুদ্ধে ১২ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন নাহিদা। এবার নিজেকেই ছাপিয়ে গেলেন।