তৃতীয় দিনের যে পিচে শ্রীলঙ্কার দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার যথেচ্ছ রান সংগ্রহ করেন, সেখানেই শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ফলে নিজেদের ডেরায় ঘোর বিপাকে নাজমুল হোসেন শান্তরা। পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে হাতে ২টি দিন পড়ে থাকলেও ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব দেখাচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষে। সুতরাং, এটা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে হারের প্রহর গুণছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে একসময় ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ২৮০ রান সংগ্রহ করে ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা (১০২) ও কামিন্দু মেন্ডিসের (১০২) জোড়া শতরানের সুবাদে। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৮৮ রানে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯২ রানের লিড পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা একসময় ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা ৬ উইকেট হারায় ১২৬ রানে। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে ৪১৮ রানে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফের সেঞ্চুরি করেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস।
ধনঞ্জয়া ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৯ বলে ১০৮ রান করে আউট হন। কামিন্দু ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২৩৭ বলে ১৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অর্থাৎ, এই দুই ব্যাটসম্যানই সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের বিধ্বস্ত করেন।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করুণারত্নে ৫২, ম্যাথিউজ ২২ ও জয়সূর্য ২৫ রান করেন। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রানের। বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ৪৭ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে বসেছে। অর্থাৎ, জয়ের জন্য এখনও ৪৬৪ রান দরকার বাংলাদেশের। হাতে রয়েছে মোটে ৫টি উইকেট।
জাকির হাসান ১৯ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদত হোসেন ও লিটন দাস। মোমিনুল হক ৭ রান করে নট-আউট থাকেন। শ্রীলঙ্কার বিশ্ব ফার্নান্ডো দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট নিয়েছেন।