ম্যাচের আগেই কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, এবছর ইডেনের আইপিএল ম্যাচে রান উঠবে বিস্তর। তিনি আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে, ইডেনে ২০০ রান ওঠা অতি স্বাভাবিক বিষয়। কিউরেটর যে ভুল বলেননি, সেটা বোঝা যায় কেকেআর বনাম সানরাইজার্স ম্যাচেই।
ইডেনে আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম ম্যাচে উভয় দল ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। কেকেআর শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২০৮ রান তোলে। ম্যাচ হারলেও সানরাইজার্স ৭ উইকেটে ২০৪ রান তুলে ফেলে। আক্ষরিক অর্থেই ছক্কার ফুলঝুরি দেখা যায় ম্যাচে। কেকেআরের ব্যাটাররা সম্মিলিতভাবে ১৪টি ছক্কা মারেন। রাসেল একাই হাঁকান ৭টি ছক্কা।
পরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা সকলে মিলে মারেন ১৫টি ছক্কা, যার মধ্যে এনরিখ ক্লাসেন একা হাঁকান ৮টি ছক্কা। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ২৯টি ছক্কা দেখা যায় ম্যাচে। ছক্কার ছড়াছড়ির মাঝে একটি দুর্দান্ত ব্যক্তিগত নজির গড়ে ফেলেন সানরাইজার্সের এনরিখ ক্লাসেন। এছাড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলগতভাবে একটি অনবদ্য রেকর্ড গড়ে ফেলে এই ম্যাচে।
এনরিখ ক্লাসেনের সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ড:-
একটি আইপিএল ইনিংসে কোনও চার না মারা সত্ত্বেও সব থেকে বেশি ছক্কা হাঁকানোর সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেলেন ক্লাসেন। তিনি কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেনে ২৯ বলে ৬৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার পথে একটিও চার মারেননি, তবে ছক্কা হাঁকান ৮টি।
এতদিন এই রেকর্ড ছিল যুগ্মভাবে নীতীশ রানা, সঞ্জু স্যামসন ও রাহুল তেওয়াটিয়ার নামে। নীতীশ রানা ২০১৭ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৭টি ছক্কা মারেন, তবে সেই ইনিংসে তিনি কোনও চার মারেননি। ২০১৭ সালেই গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসন ৭টি ছক্কা মারেন একটি ইনিংসে। বলা বাহুল্য, সেই ইনিংসে তিনি কোনও চার মারেননি। পরে ২০২০ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রাহুল তেওয়াটিয়া কোনও চার না মেরেও একটি ইনিংসে ৭টি ছক্কা হাঁকান।
আরও পড়ুন:- KKR-এর হয়ে অভিষেকে সব থেকে বেশি রান, সেরা ৫-এ জায়গা করে নিলেন সল্ট
সানরাইজার্সের দলগত আইপিএল রেকর্ড:-
শনিবার ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের ব্যাটারার মোট ১৫টি ছক্কা মারেন। একটি আইপিএল ইনিংসে এটি সানরাইজার্সের সব থেকে বেশি ছক্কার সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে উপ্পলে আরসিবির বিরুদ্ধে ১৩টি ছক্কা মারেন সানরাইজার্সের ব্যাটাররা। পরে ২০২৩ সালে জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের ব্যাটাররা মারেন ১৩টি ছক্কা। এছাড়া হায়দরাবাদের ব্যাটাররা অতীতে পঞ্জাব, চেন্নাই ও আরসিবির বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচে সম্মিলিতভাবে ১২টি করে ছক্কা মারেন।